অস্ট্রেলিয়ার ৩১তম প্রধানমন্ত্রী হতে যাচ্ছেন লেবার নেতা অ্যান্থনি আলবানিজি এবং তিনি হবেন অস্ট্রেলিয়ার ইতিহাসে অ্যাংলো-কেল্টিক পটভূমির বাইরে প্রথম প্রধানমন্ত্রী। এদিকে আলবানিজিকে অভিনন্দন জানিয়ে পরাজয় স্বীকার করে নিয়েছেন স্কট মরিসন, পার্টির পার্লামেন্ট নেতার পদ থেকেও পদত্যাগের ঘোষণা দিয়েছেন।
ধারণা করা হচ্ছে আলবানিজির দল লেবার জিততে চলেছে ৭৭টি আসনে, অন্যদিকে মরিসনের লিবারেল-ন্যাশনাল জোট জিততে চলেছে ৫৯টি আসন।
নির্বাচনে জয়ের জন্য ১৫১ আসনবিশিষ্ট হাউজ অফ রিপ্রেজেন্টেটিভসে অন্তত ৭৬টি আসনে জয় নিশ্চিত করতে হবে।
এবারের নির্বাচনে মূল প্রতিদ্বন্দ্বিতা ক্ষমতাসীন লিবারেল–ন্যাশনাল কোয়ালিশন ও লেবার দলের মধ্যে থাকলেও পরিবেশবাদী দল গ্রীনস চারটি ও ক্রসবেঞ্চারস বা স্বতন্ত্র প্রার্থীরা পাচ্ছে ১১টি আসন।
তবে এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত অস্ট্রেলিয়ান ইলেক্টোরাল কমিশন আনুষ্ঠানিকভাবে যে ফলাফল ঘোষণা করেছে তাতে লেবার ৭৩টি এবং কোয়ালিশন ৫১টি আসনে জিতেছে।
ইটালিয়ান-আইরিশ বংশোদ্ভূত মি. আলবানিজি সমর্থকদের উদ্দেশ্যে বলেন, এই জয় অস্ট্রেলিয়া সম্পর্কে অনেক কিছু বলছে।
এদিকে নিজ আসনে জিতলেও দলের পরাজয় স্বীকার করে আলবানিজিকে অভিনন্দন জানিয়েছেন স্কট মরিসন। দলীয় কার্যালয়ে এক ভাষণে নির্বাচনী সাফল্যের জন্য আলবানিজিকে অভিনন্দন জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আজকের রাতটি লিবারেল-ন্যাশনালদের জন্য হতাশার।’
চমক দেখিয়েছে গ্রীনস ও স্বতন্ত্র প্রার্থীরা
গ্রীনস দল এবারের নির্বাচনে আগের চেয়ে অনেক বেশি ভোট পেয়েছে। তারা কুইন্সল্যান্ডের বন্যা কবলিত এলাকার লিবারেল ও লেবার উভয় দলের নামি প্রার্থীদের হারিয়েছে।
গ্রীনস দলের নেতা এডাম ব্যান্ডট হাউজ অফ রিপ্রেজেন্টেটিভসে তাদের আসন বাড়বে বলে প্রত্যাশা করছেন। তিনি বলেন, নির্বাচনের এই ম্যান্ডেট জলবায়ু পরিবর্তন এবং বৈষম্যের বিরুদ্ধে।
এদিকে নির্বাচনে উল্লেখযোগ্য সংখ্যায় স্বতন্ত্র প্রার্থী হাউজ অফ রিপ্রেজেন্টেটিভসের আসন দখল করতে চলেছেন। স্বতন্ত্র প্রার্থী জো ড্যানিয়েল এবং এলেগ্রা স্পেন্ডারের জয় পার্লামেন্টে ব্যাপক প্রভাব ফেলবে বলে মনে করা হচ্ছে।
ভিক্টোরিয়ার কুইউং আসনে ট্রেজারার জশ ফ্রেডিনবার্গ স্বতন্ত্র প্রার্থী ডঃ মনিক রায়ানের কাছে অল্প ব্যবধানে হেরে গেছেন।
ওয়ারিঙ্গা আসনে জয়ী স্বতন্ত্র প্রার্থী জালি স্টেগাল বলেন, কোয়ালিশন যে পরিমান ভোট এই নির্বাচনে হারিয়েছে তাতে এটা স্পষ্ট যে জলবায়ু পরিবর্তন মানুষের কাছে একটি বড় ইস্যু হিসেবে দেখা দিয়েছে।
এদিকে গুরুত্বপূর্ণ প্রার্থীদের মধ্যে লেবারের বিল শর্টেন, জিম চালমারস, কোয়ালিশনের পিটার ডাটন, এলান টাজ ও বার্ণাবি জয়েস জিতেছেন।
নানা আলোচনার জন্ম দেয়া, লিবারেল থেকে বেরিয়ে এসে ইউনাইটেড অস্ট্রেলিয়া পার্টির প্রার্থী ক্রেইগ কেলি শোচনীয়ভাবে হেরেছেন। সিনেটে গ্রীনস-এর কাছে হারতে চলেছেন আরেক আলোচিত প্রার্থী ওয়ান নেশন পার্টির পলিন হ্যানসন।
এদিকে লেবার দলের পেনি ওয়ং সিনেটে সরকারি দলের নেতা হতে যাচ্ছেন এবং ফেডারেল ফরেন মিনিস্টার পদ লাভ করবেন বলে মনে করা হচ্ছে।
পেনি ওয়ং বলেন, লেবারের এই জয় মানুষের মনে আশা জাগিয়েছে।
পুরো প্রতিবেদনটি শুনতে উপরের অডিও-প্লেয়ার বাটনে ক্লিক করুন।
Follow SBS Bangla on FACEBOOK.
এসবিএস বাংলার অনুষ্ঠান শুনুন রেডিওতে, এসবিএস বাংলা রেডিও অ্যাপ-এ এবং আমাদের ওয়েবসাইটে, প্রতি সোম ও শনিবার সন্ধ্যা ৬ টা থেকে ৭ টা পর্যন্ত।
রেডিও অনুষ্ঠান পরেও শুনতে পারবেন, ভিজিট করুন: আমাদের ওয়েবসাইট।
আমাদেরকে অনুসরণ করুন ফেসবুকে।