অভিবাসী ও বৈচিত্রপূর্ণ জনগোষ্ঠীর মানুষ অসমঞ্জস্যপূর্ণভাবে বেশি আর্থিক প্রতারণার শিকার হয়। নতুন প্রাপ্ত তথ্যে দেখা গেছে, এক্ষেত্রে তাদের আর্থিক ক্ষতির পরিমাণ বেড়েছে। স্ক্যাম বা আর্থিক প্রতারণার শিকার হওয়া ব্যক্তিদের অনেকেই তাদের দূর্ভোগের কথা জনসমক্ষে প্রকাশ করতে চান না।
স্ক্যাম বা আর্থিক প্রতারণার শিকার হওয়ার কথা জানিয়েছেন সিডনির তামিল কমিউনিটির তিন ব্যক্তি। এখন তারা মানুষকে এ বিষয়ে সতর্ক ও সচেতন করতে চান।
তাদের নাম-পরিচয় গোপন রাখা হচ্ছে। ধরা যাক, তাদের একজনের নাম কুমার। তিনি আর্থিক বিনিয়োগ করতে গিয়ে প্রতারণার শিকার হন এবং ১৭,০০০ ডলার ক্ষতিগ্রস্ত হন।
‘হোপ বিজনেস’ নামের একটি স্ক্যামে বিনিয়োগ করে সিডনির তামিল কমিউনিটির এই তিন ব্যক্তি সম্মিলিতভাবে ২০,০০০ ডলারেরও বেশি অর্থ খুঁইয়েছেন।
তারা বলেন, স্ক্যামার বা প্রতারকরা তাদের সঙ্গে ফেসবুকে তামিল ভাষায় যোগাযোগ করেছিল।
ACCC এর মতে, এই স্ক্যামটির দ্বারা অস্ট্রেলিয়ার অভিবাসী কমিউনিটিগুলোর লোকেরা অসমঞ্জস্যপূর্ণভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এদের মধ্যে মায়ানমার ও শ্রী লঙ্কা থেকে সাম্প্রতিক সময়ে আগত অভিবাসীরাও রয়েছে।
বিগত বছরে, স্ক্যামের কবলে পড়ে আর্থিক ক্ষতির পরিমাণ ৮৭ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়ে ২৩৬ মিলিয়ন ডলারে উপনীত হয়েছে।
এ বছর স্ক্যামওয়াচ ২৪০,০০০ এরও বেশি স্ক্যাম রিপোর্ট পেয়েছে।
এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি, ১২১ মিলিয়ন ডলার, খোঁয়া গেছে ইনভেস্টমেন্ট স্ক্যাম বা বিনিয়োগ প্রতারণার ক্ষেত্রে।
যা গত বছরের তুলনায় ৯২ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে।
অস্ট্রেলিয়ান ব্যাংকিং অ্যাসোসিয়েশনের সিইও অ্যানা ব্লাই বলেন, যারা ইংরেজি ভাষায় দক্ষ নন এবং এদেশের ব্যাংকিং ব্যবস্থা সম্পর্কেও ভালভাবে জানেন না, তুলনামূলকভাবে তাদেরকে কিছুটা সহজেই প্রতারিত করা যায়।
তামিল কমিউনিটির এই তিন ব্যক্তি তাদের খোঁয়া যাওয়া অর্থ উদ্ধার করতে পারেন নি। তাই তারা অন্যদেরকে এ বিষয়ে সতর্ক করতে চান।
প্রতিবেদনটি শুনতে উপরের অডিও-প্লেয়ারটিতে ক্লিক করুন।
Follow SBS Bangla on FACEBOOK.