কোনো একটি দেশে অভিবাসনের পর সন্তান মানুষ করা বড় একটি চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখা দেয়। কেন? নতুন সমাজ, নতুন মূল্যবোধ ও আইন-কানুনের সঙ্গে কীভাবে মানিয়ে দেওয়া যাবে? এসবিএস বাংলার সঙ্গে এ বিষয়ে কথা বলেছেন ম্যাকোয়েরি ইউনিভার্সিটির এমেরিটাস অধ্যাপক এম রফিকুল ইসলাম।
সন্তানের বিয়ের সিদ্ধান্তের ক্ষেত্রে বাবা-মা কতোটুকু ভূমিকা ও প্রভাব রাখতে পারেন? এ প্রশ্নের জবাবে বাংলাদেশের রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের সাবেক চেয়ারম্যান ও অস্ট্রেলিয়ার ম্যাকোয়েরি ইউনিভার্সিটির এমেরিটাস অধ্যাপক এম রফিকুল ইসলাম বলেন,
“এখানকার আইন অনুযায়ী বাবা-মায়ের কোনো রোল, অ্যাজ এ ম্যাটার অফ রাইট, নাই। অধিকারবলে তাদের কোনো রাইট নাই। এটা তাদের ছেলে বা মেয়েই ডিসাইড করবে। তবে হ্যাঁ, আপনি যদি সমঝোতা বা আলাপচারিতার মাধ্যমে কোনো জিনিস উত্থাপন করতে চান, বা বুঝাতে চান, সেটা ভিন্ন কথা। এখানকার আইন একেবারেই স্পষ্ট এ ব্যাপারে।”
তিনি আরও বলেন, বয়স ১৮ বছরে উপনীত হলে এখানকার আইনে সেই ব্যক্তিকে পূর্ণাঙ্গ একজন মানুষ হিসেবে গণ্য করে থাকে, যিনি তার নিজের বিষয়ে পরিপূর্ণভাবে দায়িত্বশীল।
ড. রফিক বলেন, ৬০ বছর বয়সী একজন ব্যক্তি যা করতে পারেন, আইনের চোখে, ১৮ বছর বয়সী ব্যক্তিও তাই করতে পারেন।
“অ্যাডাল্ট হিসেবে আপনি ৫০, ৪০ বা ৬০ বছরে যা করতে পারেন, সে-ও তাই পারে।”
প্রাপ্ত-বয়স্ক সন্তানদেরকে শাসন করার বিষয়ে তিনি বলেন,
“আপনি যদি ১৮ বছর পর্যন্ত একটা বাচ্চার কিছুই না করেন, ১৮ বছরের পর গিয়ে আপনি যদি তার উপরে কিছু চাপিয়ে দিতে চান, তাহলে ও ভেঙ্গে যাবে, মচকাবে না।”
প্রফেসর এম রফিকুল ইসলামের সাক্ষাৎকারটি শুনতে উপরের অডিও-প্লেয়ারটিতে ক্লিক করুন।
১৮ বছরের কম-বয়সী সন্তানদের শাসন করার বিষয়ে ড. এম রফিকুল ইসলামের সাক্ষাৎকারটি শুনুন এই লিঙ্কে।
অস্ট্রেলিয়ায় সন্তান প্রতিপালন নিয়ে আমরা আপনার আশা-আকাঙ্ক্ষা, উদ্বেগ এবং অভিজ্ঞতার কথা শুনতে চাই। আমাদেরকে ইমেইল করুন bangla.program@sbs.com.au ঠিকানায় কিংবা যোগাযোগ করুন এসবিএস বাংলার ফেসবুক পেজে।
Follow SBS Bangla on FACEBOOK.
এসবিএস বাংলার অনুষ্ঠান শুনুন রেডিওতে, এসবিএস বাংলা রেডিও অ্যাপ-এ এবং আমাদের ওয়েবসাইটে, প্রতি সোম ও শনিবার সন্ধ্যা ৬ টা থেকে ৭ টা পর্যন্ত। রেডিও অনুষ্ঠান পরেও শুনতে পারবেন, ভিজিট করুন: এসবিএস বাংলা
আমাদেরকে অনুসরণ করুন ফেসবুকে।