অস্ট্রেলিয়ার হোম অ্যাফেয়ার্স মিনিস্টার কারেন অ্যান্ড্রুজ বলছেন, ভিসা আবেদন প্রক্রিয়া নিয়ে অনেকের মধ্যে বিভ্রান্তি আছে - ভিসার জন্য আবেদন করা এবং ভিসা মঞ্জুর করা হলেই অস্ট্রেলিয়ায় প্রবেশের নিশ্চয়তা দেয় না, প্রবেশের সময়ে প্রযোজ্য শর্ত পূরণ করতে হবে।
যতদূর জানা যাচ্ছে টেনিস তারকা নোভাক জোকোভিচের ভিসা বাতিল করা হয়েছে কারণ তিনি ভিসার শর্তগুলো পূরণ করেননি। টেনিসের এতবড় একজন তারকার বেলায় কী ঘটেছে এ নিয়ে হয়তো আরো আলোচনা হবে, তবে আমরা এই প্রসঙ্গে আজকে জানার চেষ্টা করবো ঠিক কী কী কারণে একজন ভিজিটর বা অস্থায়ী ভিসাধারীর ভিসা বাতিল হতে পারে।
আজ আমাদের আমাদের সাথে এ বিষয়ে কথা বলছেন সলিসিটর-ব্যারিস্টার আবু সিদ্দিক।
নোভাক জোকোভিচের ভিসা বাতিলের বিষয়ে ব্যারিস্টার আবু সিদ্দিক বলেন, জোকোভিচ নভেম্বর ২০২১-এ ভিসার আবেদন করেন সাবক্লাস ৪০৮-এ, যা একটি টেম্পোরারি একটিভিটি ভিসা, এটি খেলায় অংশ নিতে দেয়া হয়েছিল। তবে তার আবেদনের প্রেক্ষিতে তাকে মেডিক্যাল এক্সেম্পশন বা ছাড় দেয়া হয়েছিল।
তিনি ব্যাখ্যা করেন, এখানে একটি বিষয় হলো তার এক্সেম্পশন থাকার পরেও অস্ট্রেলিয়ায় প্রবেশের সময় তার সর্বশেষ মেডিক্যাল তথ্য সঠিকভাবে জানাতে হতো, কিন্তু এখানে তার এই বিষয়টি বোঝার সমস্যার কারণে হয়তো বিভ্রান্তি তৈরী হয়েছে। তবে প্রথমবার তার ভিসা স্ট্যাটাস ফিরে পেলেও ইমিগ্র্যাশন মিনিস্টারের ক্ষমতাবলে দ্বিতীয়বারের জন্য ভিসা বাতিল হয়ে যায় - এখানে কারণ দেখানো হয়েছে 'জনস্বার্থ বিবেচনায়'।
পার্মানেন্ট বা টেম্পোরারি যে কোন ভিসা বাতিল হতে পারে, এমনকি কোন কোন ক্ষেত্রে যেমন 'টেরোরিজম এক্ট' অনুযায়ী অস্ট্রেলিয়ার সিটিজেনশিপও বাতিল হতে পারে।
এ প্রসঙ্গে ব্যারিস্টার সিদ্দিক বলেন, টেম্পোরারি ভিসায় কোন আবেদনকারী ভুল বা মিথ্যা তথ্য প্রদান করলে 'প্রাইমারি পাবলিক ইন্টারেস্ট ক্রাইটেরিয়া'র অধীনে ভিসা বাতিল হতে পারে। এক্ষেত্রে আবেদনকারী কিছু ব্যতিক্রম ছাড়া তিন বছরের জন্য স্বয়ংক্রিয়ভাবে ভিসার আবেদন করতে পারবে না।
তিনি বলেন, ভিসা বাতিল হলে আবেদনকারী প্রতিকার চাইতে পারেন বা আইনজীবী নিয়োগ করতে পারেন।
এখানে প্রসঙ্গত টেম্পোরারি ভিসাধারীরা অস্ট্রেলিয়ায় নিষিদ্ধ পণ্য বা খাদ্যপণ্য আনলে এবং সঠিকভাবে ল্যান্ডিং কার্ডে ঘোষণা না দিলেও ভিসা বাতিল বা ডিপোর্টেশনের মুখোমুখি হতে পারে।
ব্যারিস্টার সিদ্দিক বলেন,, আপনি যদি কোন এনিম্যাল প্লান্ট বা ফুড আইটেম আনলেন কিন্তু ইমিগ্রেশনে তা ঘোষণা দিলেন না, তখন কাস্টমসে যদি সেটা পাওয়া যায় তবে ভুল বা বিভ্রান্তিকর তথ্য দেয়ার অভিযোগে ভিসা বাতিল হতে পারে, ডিপোর্ট করতে পারে বা আপনাকে ডিটেনশন নেয়া হতে পারে।
ব্যারিস্টার আবু সিদ্দিক ভ্রমণকারীদের পরামর্শ দিয়ে বলেন, ভিসা তথ্য অবশ্যই সঠিকভাবে পূরণ করা গুরুত্বপূর্ণ।
ব্যারিস্টার সিদ্দিকের পুরো সাক্ষাৎকারটি শুনতে উপরের অডিও প্লেয়ারে ক্লিক করুন।
এসবিএস বাংলার অনুষ্ঠান শুনুন রেডিওতে, এসবিএস বাংলা রেডিও অ্যাপ-এ এবং আমাদের ওয়েবসাইটে, প্রতি সোম ও শনিবার সন্ধ্যা ৬ টা থেকে ৭ টা পর্যন্ত। রেডিও অনুষ্ঠান পরেও শুনতে পারবেন, ভিজিট করুন: https://www.sbs.com.au/language/bangla/program
আমাদেরকে অনুসরণ করুন ফেসবুকে।