মহামারী থেকে পুনরুদ্ধারের বিষয়টিই এবারের প্রধান নির্বাচনী ইস্যু হতে চলেছে, এতে লেবার এবং লিবারেল-ন্যাশনাল জোট উভয়ের জন্য চ্যালেঞ্জিং হবে বলে মনে করা হচ্ছে।
গুরুত্বপূর্ণ দিকগুলো
- লিবারেল-ন্যাশনাল জোট সরকার সেপ্টেম্বর ২০১৮ সালের পর থেকে নিউজপোলে সবচেয়ে খারাপ অবস্থানে আছে
- জরিপে দেখা যায় যে সংখ্যাগরিষ্ঠ ভোটাররা লেবারকে মহামারী থেকে জাতিকে মুক্ত করতে একটি ভাল দল বলে মনে করে
- মিঃ মরিসন বয়স্ক-পরিচর্যা কর্মীদের জন্য অতিরিক্ত ২১০ মিলিয়ন ডলার বৃদ্ধির ঘোষণা দেন।
গত মঙ্গলবার, ১ ফেব্রুয়ারি একটি প্রধান বক্তৃতায় প্রধানমন্ত্রী ভাইরাস-বিধ্বস্ত বয়স্ক পরিচর্যা সেক্টরের কর্মীদের জন্য ২১০ মিলিয়ন ডলারের বেশি নগদ অর্থ প্রদানের প্রতিশ্রুতি ঘোষণা করেছেন।
এর আগে এই গ্রীষ্মের প্রথম একটি গুরুত্বপূর্ণ মতামত জরিপে দেখা যায় সরকার সেপ্টেম্বর ২০১৮ সালের পর থেকে সবচেয়ে খারাপ অবস্থানে আছে - ওমিক্রনের বিস্তার এই ফলাফলকে প্রভাবিত করেছে বলে মনে করা হচ্ছে।
নির্বাচন এগিয়ে আসার সাথে সাথে বিরোধী নেতা অ্যান্থনি আলবানিজি গ্রীষ্মের এই সময়ে গুরুতর বিষয়গুলির উপর নজর দিয়েছেন - যার মধ্যে আছে ওমিক্রনের বৃদ্ধির ফলে সৃষ্ট রেপিড অ্যান্টিজেন টেস্টের ঘাটতি।
তিনি বলেন, আমি সরকারকে বলছি - যদি তারা অস্ট্রেলিয়ানদের বলে যে রেপিড অ্যান্টিজেন টেস্টের জন্য তাদেরকে কয়েকটি ডলার দিতে পারবে না, তাহলে তারা ঠাট্টা করছে।
যদিও লেবার সমস্ত অস্ট্রেলিয়ানদের জন্য বিনামূল্যে রেপিড অ্যান্টিজেন টেস্টের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে, তবে তারা এখনও বলতে পারছে না এর জন্য সম্ভাব্য কত খরচ করতে হবে।
তবে সরকারের মধ্যে হতাশা বাড়ছে। এর মধ্যেই গত ৩১ জানুয়ারি, সোমবার বছরের প্রথম নিউজপোল প্রকাশিত হলো।
লেবারদের প্রাথমিক ভোট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪১ শতাংশে, আর কোয়ালিশনের সমর্থন কমে হয়েছে ৩৪ শতাংশ।
দুই দলের পছন্দের ক্ষেত্রে, কোয়ালিশনের ৪৪ পয়েন্টের তুলনায় বিরোধী দল ৫৬ পয়েন্টে এগিয়ে আছে।
২০১৮ সালের সেপ্টেম্বরে নেতৃত্বের পরিবর্তনের পর এটিই জোটের সবচেয়ে খারাপ ফলাফল।
স্কট মরিসনও পছন্দের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে অবস্থান হারিয়েছেন, তিনি অ্যান্থোনি আলবেনিজির চেয়ে সামান্য এগিয়ে আছেন।
যদিও জোট কিছুটা আস্থা পেতে অতীতের দিকে তাকিয়ে আছে।
ট্রেজারার জশ ফ্রাইডেনবার্গ বলেন, ২০১৯ সালের নির্বাচনের আগে অনেক কথা লেখা হয়েছিল এবং মিডিয়ায় যারা অনেক ভুয়া ভবিষ্যদ্বাণী করেছিল, তারা ভুল বলে প্রমাণিত হয়েছিল।
জরিপে আরও দেখা যায় যে সংখ্যাগরিষ্ঠ ভোটাররা লেবারকে মহামারী থেকে জাতিকে মুক্ত করতে একটি ভাল দল বলে মনে করে।
কিন্তু জনমত জরিপ আগেও ভুল হয়েছে।
লেবার দলের হেলথের মুখপাত্র মার্ক বাটলার বলেছেন যে তার দল নির্বাচনের দিনটির উপর নজর দিচ্ছে।
তিনি বলেন, শেষ পর্যন্ত নির্বাচনের দিনে কী হবে সেটাই বড়ো কথা - তবে অস্ট্রেলিয়ানরা এই প্রধানমন্ত্রীর বিষয়ে বিরক্ত, তিনি কখনই দায়িত্ব নেন না, কখনও বিশেষজ্ঞের পরামর্শ শোনেন না এবং সঙ্কটের সময়ে তাকে পাওয়া যায় না।
ট্রেজারার বলেন, নির্বাচনের এখনো কিছু সময় বাকি।
তিনি বলেন, নির্বাচনের সময়েই অস্ট্রেলিয়ার জনগণ তাদের সিদ্ধান্ত নেবে এর পরে কী হবে, তবে সন্দেহ নেই প্রচারণা হবে কঠোর লড়াইয়ের।
এদিকে ক্যানবেরার ন্যাশনাল প্রেসক্লাবে একটি প্রধান বক্তৃতা প্রধানমন্ত্রী স্কট মরিসন ওমিক্রন পরিচালনার বিষয়ে তিনি "বেশি আশাবাদী" হয়ে গিয়েছিলেন বলে অস্ট্রেলিয়ানদের কাছে ক্ষমা চেয়েছেন।
মিঃ মরিসন তার সরকারের ভ্যাকসিন রোলআউট, বয়স্কদের সেবায় সহায়তা এবং রেপিড অ্যান্টিজেন টেস্ট পেতে জনসাধারণের সমালোচনা কিছুটা সহজ করার চেষ্টা করেছেন।
মিঃ মরিসন বলেছেন যে তার সরকার বুঝতে পারেনি যে ভ্যাকসিন ওমিক্রন সংক্রমণ কমাতে পারবে না।
তিনি বলেন, "অস্ট্রেলিয়ানরা যাতে যথেষ্ট টিকা পায় এজন্য আমরা অনেক বেশি বিনিয়োগ করেছে।"
মিঃ মরিসন বয়স্ক-পরিচর্যা কর্মীদের জন্য অতিরিক্ত ২১০ মিলিয়ন ডলার বৃদ্ধির ঘোষণা দেন। বয়স্ক-পরিচর্যা কর্মীদের দুই কিস্তিতে ৪০০ ডলার করে মোট ৮০০ ডলার দেয়া হবে।
প্রথমটি ফেব্রুয়ারিতে এবং দ্বিতীয়টি মে মাসে দেয়া হবে।
কোভিড সংকটের সময় পরিচর্যা কর্মীদের ঘাটতির কারণে বয়স্ক সেবার উপর চাপ বেড়ে যাওয়ার পর এই ঘোষণাটি এসেছে।
Follow SBS Bangla on FACEBOOK.
পুরো প্রতিবেদনটি শুনতে উপরের অডিও-প্লেয়ারটিতে ক্লিক করুন।
এসবিএস বাংলার অনুষ্ঠান শুনুন রেডিওতে, এসবিএস বাংলা রেডিও অ্যাপ-এ এবং আমাদের ওয়েবসাইটে, প্রতি সোম ও শনিবার সন্ধ্যা ৬ টা থেকে ৭ টা পর্যন্ত। রেডিও অনুষ্ঠান পরেও শুনতে পারবেন, ভিজিট করুন: https://www.sbs.com.au/language/bangla/program
আমাদেরকে অনুসরণ করুন ফেসবুকে।