অস্ট্রেলিয়ায় কর্মহীন মানুষের ভীড় বাড়ছে। দীর্ঘকাল ধরে কর্মহীন লক্ষাধিক বেকার ভবিষ্যত অন্ধকার দেখছে। অস্ট্রেলিয়ায় সমসাময়িক বেকারত্ব নিয়ে একটি প্রতিবেদন।
দক্ষিন সিডনীর একটা ইভেন্ট ভেন্যুতে উদ্যানতত্ত্ববিদ হিসাবে সপ্তাহে তিন ঘন্টা করে কাজ করছেন অ্যাশলি স্টিভেনসন। তার একটা পূর্ণকালীন চাকুরির দরকার। কিন্তু তিনি যেহেতু সরকারী জব সিকার সুবিধা পাচ্ছেন, তাই নির্দিষ্ট কর্মঘন্টার বেশি কাজ করলেই তাকে ৫০ শতাংশ পর্যন্ত ট্যাক্স দিতে হয়।
নিজের হতাশার প্রকাশ করে তিনি বলেন,
আমি কেবল একটা কাজ চাই, আর কিছু নয়। আমি শ্রমবিমুখ নই। আমি সত্যিই কাজ করতে চাই, আর আমার চুল ধূসর মানে এই নয় যে আমি অযোগ্য।
অস্ট্রেলিয়ান কাউন্সিল অফ সোশ্যাল সার্ভিস পরিচালিত এক সমীক্ষায় দেখা গেছে, দেশের বেকারত্ব সংকটকালীন পর্যায়ে পৌঁছেছে।
প্রতিষ্ঠানটির চিফ একজিকিউটিভ ক্যাসান্ড্রা গোল্ডি বলেন, এক বছরেরও অধিক সময় ধরে ৮ লক্ষ ২৬ হাজার জন অস্ট্রেলিয়ান ‘জবসিকার’ অনুদান নিয়ে বেঁচে আছেন।
অক্টোবর মাসে বেকারত্বের হার ছিল ৫ দশমিক দুই শতাংশ। তার আগে ছিল চার দশমিক ছয় শতাংশ।
অবশ্য ট্রেজারার জশ ফ্রাইডেনবার্গ দাবী করছেন যে এই উপরোক্ত পরিসংখ্যান লক ডাউন সময়কালে নেওয়া হয়েছে আর এখন অর্থনীতি ঘুরে দাঁড়িয়েছে।
ফেডারেল বিরোধী দল অর্থনীতি পুনরুদ্ধারের তথ্যকে সামঞ্জস্যহীন বলে অভিযোগ করেছে। অস্ট্রেলিয়ার সব ধরণের জনগোষ্ঠীকে এখানে বিবেচনা করা হয়নি।
সরকার প্রদত্ত সুবিধা বা অনুদানের বাস্তব চিত্রটি তুলে ধরে অ্যাশলি স্টিভেনসন বলেন, সরকারী অনুদানে সাপ্তাহিক খরচ ৩৫০ ডলারের মধ্যে চলতে হয়। মুহুর্তের তলবে সরকারী দফতরে যেতে হয়, সেখানে সাক্ষাৎকার দিতে হয়। এদিকে অর্থাভাবে খাবার কেনা আর বাসা ভাড়ার যোগান— এসবের ঝুঁকির মধ্যে থাকতে হয়।
অস্ট্রেলিয়ান কাউন্সিল অফ সোশ্যাল সার্ভিসেস বেকারত্বের হার ৪ শতাংশের নীচে রাখার সুপারিশ করেছে।
ক্যাসান্ড্রা গোল্ডি অবশ্য মনে করেন সরকারের তহবিল কিভাবে খরচ হচ্ছে সেটাই গুরুত্বপূর্ন। শ্রমবাজারের দুরবস্থায় অর্থনীতির দিকে বেশি মনোযোগ না দিয়ে সহযোগিতামূলক নীতির বাস্তবায়ন জরুরি।
প্রতিবেদনটি বাংলায় শুনতে উপরের অডিও প্লেয়ারে ক্লিক করুন।
Follow SBS Bangla on FACEBOOK.