একুশের গানের রচয়িতা, প্রসিদ্ধ লেখক ও সাংবাদিক আবদুল গাফফার চৌধুরী আর নেই। স্থানীয় সময় আজ বৃহস্পতিবার ভোরে যুক্তরাজ্যের লন্ডনে একটি হাসপাতালে তিনি শেষনিশ্বাস ত্যাগ করেন। ছাত্রজীবন থেকে রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিলেন। তিনি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানের ঘনিষ্ঠ সান্নিধ্যে এসেছেন।
১৯৩৪ সালে বরিশালের উলানিয়া গ্রামে আবদুল গাফফার চৌধুরীর জন্ম। ছাত্রজীবন কেটেছে ঢাকা কলেজ ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে।
প্রথম গল্প প্রকাশিত হয় ১৯৪৯ সালে সওগাত পত্রিকায়। তখন তিনি নবম শ্রেণির ছাত্র। প্রথম বই কৃষ্ণপক্ষ’ ১৯৫৮ সালে প্রকাশিত হয়। সে বছরই দ্বিতীয় গল্পগ্রন্থ ‘সম্রাটের ছবি’ বের হয়। বাংলা একাডেমি, ইউনেসকোসহ অনেক সাহিত্য পুরস্কার পেয়েছেন।
১৯৫১ সালে বেতনে সাব-এডিটর হিসেবে সাংবাদিকতা পেশার শুরু। একই বছর যোগ দেন সংবাদে। এর পর মিল্লাত হয়ে ইত্তেফাক। ইত্তেফাক থেকে আজাদ। এর পর পূর্বদেশ।
মুক্তিযুদ্ধের সময় আগরতলা হয়ে কলকাতায় চলে যান। ‘জয় বাংলা’ কাগজের নির্বাহী সম্পাদক ছিলেন। এটি মুজিবনগর সরকারের অফিশিয়াল মুখপত্র ছিল। সেই সঙ্গে স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রেও যুক্ত ছিলেন। যেতেন রণাঙ্গণে।
তিনি তাঁর লেখা নাটক পলাশী থেকে ধানমন্ডি নাটক পরিচালনা করেছেন। এই নাটকে বঙ্গবন্ধুর চরিত্রে অভিনয় করেছেন বাংলাদেশের বিশিষ্ট অভিনেতা সম্প্রীতি বাংলাদেশ-এর আহ্বায়ক পীযূষ বন্দ্যোধ্যায়।
সেই স্মৃতি তুলে ধরে তিনি বলেন মিঃ পীযূষ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ২০০৩ সালে তিনি সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন বঙ্গবন্ধু হত্যার স্বরযন্ত্র উদ্ঘাটনে তিনি একটি নাটক রচনা করবেন এবং সেখানে বঙ্গবন্ধু চরিত্রের জন্য আমাকে নির্বাচন করেন। আমরা বেশ বৈরী পরিবেশে ওই নাটকটি করেছিলাম।
লন্ডনে উচ্চশিক্ষার জন্য গিয়েছিলেন দেশের বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ ড. আতিউর রহমান। ড. আতিউরের পরিবারের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক ছিল আবদুল গাফফার চৌধুরীর।
কানাডা থেকে ড. আতিউর রহমান এসবিএস বাংলাকে জানান, তিনি সেসময় বেশ সংগ্রাম করে চলছিলেন, একটি দোকানে কাজ করতেন এবং 'নতুন দিন' বলে একটি পত্রিকা বের করছিলেন যার উদ্দেশ্যই ছিল বঙ্গবন্ধু হত্যার প্রতিবাদ করা।
বাংলাদেশের নিরাপত্তা ও রাজনৈতিক বিশ্লেষক অবসরপ্রাপ্ত মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আলী শিকদার আবদুল গাফফার চৌধুরীকে মূল্যায়ন করতে গিয়ে বলেন, তিনি এমন একজন রাজনৈতিক ভাষ্যকার ছিলেন যার বক্তব্যের মূল কেন্দ্রে ছিল বাঙালি সংস্কৃতি সমৃদ্ধ রাজনীতি, বঙ্গবন্ধুর রাজনীতি, মুক্তিযুদ্ধের আদর্শের রাজনীতি - সেই রাজনীতির একজন মহীরুহ আমাদের কাছ থেকে চলে গেলেন।
পুরো প্রতিবেদনটি শুনতে উপরের অডিও-প্লেয়ার বাটনে ক্লিক করুন।
Follow SBS Bangla on FACEBOOK.
এসবিএস বাংলার অনুষ্ঠান শুনুন রেডিওতে, এসবিএস বাংলা রেডিও অ্যাপ-এ এবং আমাদের ওয়েবসাইটে, প্রতি সোম ও শনিবার সন্ধ্যা ৬ টা থেকে ৭ টা পর্যন্ত।
রেডিও অনুষ্ঠান পরেও শুনতে পারবেন, ভিজিট করুন: আমাদের ওয়েবসাইট।
আমাদেরকে অনুসরণ করুন ফেসবুকে।