ওয়েস্টার্ন অস্ট্রেলিয়ায় রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের সংগঠন “রুয়া” (RUAAWA) এর শীতকালীন পুনর্মিলনী অনুষ্ঠিত ও কার্যনির্বাহী কমিটি গঠিত।
ওয়েস্টার্ন অস্ট্রেলিয়ায় বসবাসরত রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের সংগঠন ‘রাজশাহী ইউনিভার্সিটি অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশন অব ওয়েস্টার্ন অস্ট্রেলিয়া’ (রুয়া) এর শীতকালীন পুনর্মিলনী ও কার্যনির্বাহী কমিটি গঠিত হয়েছে গত ২৪ জুলাই ২০২১।
পার্থের অ্যালান পার্ক প্যাভিলিয়ন মিলনায়তনে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে যোগ দেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রায় ১০০ জন প্রাক্তন শিক্ষার্থী ও তাদের পরিবার। পার্থে তৃতীয় বারের মত কোভিড লকডাউন প্রত্যাহারের পরেই এই পুনর্মিলনী অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানটির নাম রাখা হয়েছিল “হৃদয়ে মতিহার, স্মৃতিতে প্যারিস রোড, মিলছি পার্থে”।
অনুষ্ঠানটিতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন ছাত্র ও ইউনিভার্সিটি অব ওয়েস্টার্ন অস্ট্রেলিয়ার শিক্ষক ড. আবু সিদ্দিকি। তিনি এই সংগঠনটির উপদেষ্টা। অনুষ্ঠানটির এক পর্যায়ে এই সংগঠনটির নবনিযুক্ত কমিটির তালিকা প্রকাশ করেন আবু সিদ্দিকি। ২৩ সদস্যের এই কমিটির সভাপতি কামরুল হাসান বেলাল ও সাধারণ সম্পাদক জাকির সরকার।
এ সময়ে আবু সিদ্দিকি বলেন,
“এই রকম একটি প্লাটফর্ম আমার হৃদয়ের সুপ্ত বাসনা ছিল। খুবই ভাল লাগছে আমার আজ। প্রিয় বিশ্ববিদ্যালয়ের তোমাদের সবাইকে কাছে পেয়ে ক্যাম্পাসের দিনগুলো মনে পড়ে গেল।”
২০২০ সালে ‘রুয়া’ প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর এই প্রথম এ রকম একটি পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হলো এবং একটি কার্যনির্বাহী কমিটি গঠন করা হলো।
নব-নির্বাচিত সভাপতি ড. কামরুল হাসান বলেন,
“আমরা খুবই আনন্দিত যে, ওয়েস্টার্ন অস্ট্রেলিয়াতে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি অ্যালামনাই দাঁড় করাতে পেরেছি। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে আমরা যারা পড়াশোনা করেছি, দেশ থেকে হাজার মাইল দূরে আমরা যারা প্রায়শই মতিহার নিয়ে স্মৃতি-কাতর হয়ে পড়ি, আমি বিশ্বাস করি, এই অ্যালামনাই তাদের মাঝে একটি শক্ত বন্ধন তৈরি করতে সক্রিয় ভূমিকা রাখবে।”
সাধারণ সম্পাদক জাকির সরকার বলেন,
“আমাদের প্রাণপ্রিয় এই শিক্ষা-প্রতিষ্ঠানের অনেক স্মৃতি-বিজড়িত মতিহার চত্বর আর বহুল জনপ্রিয় প্যারিস রোডের রোমাঞ্চকর অনুভূতি থেকে সংগঠনটির স্লোগান করা হয়েছে, ‘হৃদয়ে মতিহার, স্মৃতিতে প্যারিস রোড, মিলছি পার্থে’।”
“ওয়েস্টার্ন অস্ট্রেলিয়াতে বসবাসরত রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষার্থী এবং শিক্ষকদের মধ্যে একটি শক্তিশালী সামাজিক বন্ধন তৈরি এবং সবসময় সদস্যদের মাঝে সর্বোত্তম স্বার্থ নিশ্চিত করাই আমাদের মূল উদ্দেশ্য। আশা করছি, ‘রুয়া’ ধারাবাহিকভাবে এ ধরনের পুনর্মিলনীসহ বিভিন্ন গঠনমূলক কর্মসূচি গ্রহণের মাধ্যমে তার মূল উদ্দেশ্য ধরে রাখতে শক্তিশালী ভূমিকা রাখবে।”
প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আশরাফি ফেরদৌসী বীথির পক্ষ থেকে জানানো হয়, এই উপলক্ষে সেদিন এক আনন্দ-ঘন উৎসবে মেতে ওঠেন উপস্থিত অতিথিগণ। এতে মেয়েদের পিলো পাসিং প্রতিযোগিতা উপভোগ করেন উপস্থিত সকলে।
তিনি বলেন,
“আজ এখানে এসে বিশ্ববিদ্যালয়ের সবাইকে কাছে পেয়ে মনে হচ্ছে, আবারও যেন ক্যাম্পাসে ফিরে গেছি। সেই মতিহার, প্যারিস রোড আর পলাশ-জারুলের কথা মনে পরে গেল।”
দেশী খাবারের মধ্যাহ্ন-ভোজের মাধ্যমে অনুষ্ঠানটি শেষ হয়।
Follow SBS Bangla on FACEBOOK.