বাংলাদেশ হাইকমিশন ক্যানবেরা
বাংলাদেশ হাইকমিশন, ক্যানবেরায় বাংলাদেশের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৫ তম মৃত্যুবার্ষিকী ও বাংলাদেশের জাতীয় শোক দিবস যথাযথ মর্যাদা ও ভাবগম্ভীর পরিবেশে পালন করা হয়।
এতে আলোচনা অনুষ্ঠানে বঙ্গবন্ধুর কর্মময় জীবনের বিভিন্ন দিক নিয়ে আলোচনা করেন অস্ট্রেলিয়ায় নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার মোহাম্মদ সুফিউর রহমান এবং প্রবাসী বাংলাদেশীরা।
হাইকমিশনার তার বক্তৃতায় বলেন, বাঙালি জাতির বাস্তবতা, স্বাতন্ত্র্য এবং আকাঙ্ক্ষার নিরিখে বঙ্গবন্ধু বাঙালি জাতীয়তাবোধকে সুসংহত করেন।
এই অনুষ্ঠানে “মুজিব শতবর্ষ MUJIB YEAR 100" শীর্ষক ওয়েব সাইটটির বিস্তারিত তুলে ধরা হয়। একটি প্রামাণ চিত্রও প্রদর্শন করা হয়।
আলোচনা অনুষ্ঠান শেষে উপস্থিত সবাই বাংলাদেশ হাইকমিশনের ডব্লিউ. এ. এস. ওডারল্যান্ড, বীর প্রতীক লাইব্রেরিতে বঙ্গবন্ধুর দূর্লভ কিছু ছবি পরিদর্শন করেন।
করোনাভাইরাসের বৈশ্বিক মহামারীর কারণে বিদ্যমান নিয়ম-কানুন ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে ক্যানবেরাস্থ প্রবাসী বাংলাদেশী ও হাইকমিশনের কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা এতে উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ কনস্যুলেট জেনারেল কার্যালয় সিডনি
সিডনির বাংলাদেশ কনস্যুলেট জেনারেল কার্যালয়ে গত ১৫ আগস্ট ২০২০, শনিবার বাংলাদেশের জাতীয় শোক দিবস ও বাংলাদেশের জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৫ তম মৃত্যুদিবস পালিত হয়।
অস্ট্রেলিয়া সরকারের কোভিড-১৯ নির্দেশনা অনুসরণ করে সীমিত সংখ্যায় স্থানীয় সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনগুলোর প্রতিনিধিরা তাতে অংশগ্রহণ করেন।
আলোচনা অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তৃতা করেন কনসাল জেনারেল খন্দকার মাসুদুল আলম। তিনি বলেন, বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের দীর্ঘ আন্দোলনে সাহসী ও দৃঢ় প্রতিজ্ঞাবদ্ধ সংশ্লিষ্টতা ও অবদানের জন্য বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশের ইতিহাসের অবিচ্ছেদ্য অংশ হিসেবে চির ভাস্বর থাকবেন।
অনুষ্ঠানে একটি ভিডিও ডকুমেন্টারিও প্রদর্শন করা হয়।

সিডনির বাংলাদেশ কনস্যুলেট জেনারেল কার্যালয়ে গত ১৫ আগস্ট বাংলাদেশের জাতীয় শোক দিবস ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৫তম মৃত্যু মৃত্যুদিবস পালিত হয়। Source: Consulate General of Bangladesh, Sydney
বঙ্গবন্ধু কাউন্সিল অস্ট্রেলিয়া
গতকাল ১৬ আগস্ট স্থানীয় একটি ফাংশন সেন্টারে বঙ্গবন্ধু কাউন্সিল অস্ট্রেলিয়া বাংলাদেশের জাতীয় শোক দিবস পালন করে। বঙ্গবন্ধু কাউন্সিল অস্ট্রেলিয়া-এর সভাপতি শেখ শামীমুল হকের সভাপতিত্বে এই অনুষ্ঠানে সিডনির গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ, সাংবাদিক-সহ সমাজের বিভিন্ন স্তরের মানুষ এতে সমবেত হন।
কোভিড-১৯ নিয়মকানুন মেনে এই সমাবেশটি পালিত হয়। সমাবেশে অনেকেই বঙ্গবন্ধুকে ঘিরে তাদের অভিজ্ঞতা বর্ণনা করেন। বঙ্গবন্ধুকে ঘিরে কবিতা আবৃত্তি করেন নোমান শামীম, শাহীন শাহনেওয়াজ, শাওন অরিজিৎ।
সঙ্গীত পরিবেশন করেন অমিয় মতিন, সিরাজুস সালেকিন, মিজানুর রহমান তরুণ ও মঞ্জুর হামিদ কচি। বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে মৌসুমি মার্টিনের একটি ভিডিও-চিত্রও পরিবেশিত হয়।

১৬ আগস্ট সিডনির স্থানীয় একটি ফাংশন সেন্টারে বঙ্গবন্ধু কাউন্সিল অস্ট্রেলিয়া বাংলাদেশের জাতীয় শোক দিবস পালন করে। Source: BCA
সমাবেশে কয়েকটি দূর্লভ প্রামাণ্যচিত্রও প্রদর্শিত হয়।

১৬ ই অগাস্ট বঙ্গবন্ধু পরিষদ অস্ট্রেলিয়া বাংলাদেশের জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর ৪৫ তম মৃত্যুবার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস পালন করে। Source: Bangabandhu Parishad Australia
বঙ্গবন্ধু পরিষদ অস্ট্রেলিয়া
সিডনির মিন্টোর একটি স্থানীয় রেস্টুরেন্টে ১৬ আগস্ট ২০২০ বঙ্গবন্ধু পরিষদ অস্ট্রেলিয়া বাংলাদেশের জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৫ তম মৃত্যুবার্ষিকী ও বাংলাদেশের জাতীয় শোক দিবস পালন করা হয়। অস্ট্রেলিয়া সরকারের কোভিড – ১৯ নির্দেশনা অনুসরণ করে সীমিত অয়োজন করা হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলাদেশের সিডনি কনসুলেটের কনসাল জেনারেল মাসুদুল আলম ও বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ কনসুলেটের চ্যান্সেরি প্রধান, কনসাল কামরুজ্জামান। শোক সভার সভাপতিত্ব করেন বঙ্গবন্ধু পরিষদ অস্ট্রেলিয়ার সভাপতি ড. রতন কুণ্ডু এবং অনুষ্ঠানটি সঞ্চালন করেন সাধারণ সম্পাদক রফিক উদ্দিন।

১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৫ তম শাহাদাৎ বার্ষিকী ও বাংলাদেশের জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সিডনি এক আলোচনা সভার আয়োজন করে। Source: Bangladesh Awami League Sydney
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সিডনি
১৫ আগস্ট বাংলাদেশের জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৫ তম শাহাদাৎ বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সিডনি, সিডনিতে এক আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করে। লাকেম্বার একটি রেস্টুরেন্টে এই অনুষ্ঠানটিতে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সিডনি, অস্ট্রেলিয়ার সভাপতি গাউসুল আলম শাহাজাদা এবং সঞ্চালন করেন সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদক ফয়সাল আজাদ।
১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বাংলাদেশের জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সপরিবারে নিহত হন তার প্রতি গভীর শোক ও সমবেদনা জানিয়ে অন্যানো নেতৃবৃন্দ বক্তব্য রাখেন। এর আগে ওই দিন দুপুরে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সিডনির নেতৃবৃন্দ ওয়েস্টার্ন সিডনি ইউনিভার্সিটির প্যারামাটা ক্যাম্পাসে বঙ্গবন্ধুর আবক্ষ ভাস্কর্যে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে।

সিডনিতে অস্ট্রেলিয়া-বাংলাদেশ প্রেস ও মিডিয়া ক্লাবের উদ্যোগে "জাতীয় শোক দিবস ও বর্তমান করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতে আমাদের করণীয়" শীর্ষক সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত হয়। Source: SBS Bangla
অস্ট্রেলিয়া-বাংলাদেশ প্রেস ও মিডিয়া ক্লাব
অস্ট্রেলিয়া-বাংলাদেশ প্রেস ও মিডিয়া ক্লাব-এর উদ্যোগে বাংলাদেশের জাতীয় শোক দিবস পালিত হয় গত ১৪ আগস্ট ২০২০।
সিডনিতে অস্ট্রেলিয়া-বাংলাদেশ প্রেস ও মিডিয়া ক্লাবের উদ্যোগে "জাতীয় শোক দিবস ও বর্তমান করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতে আমাদের করণীয়" শীর্ষক সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভার শুরুতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সহ ১৫ আগস্ট এর হত্যাকাণ্ডে নিহত সকল বিদেহী আত্মার প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয় এবং দোয়া পরিচালনা করা হয়।
আলোচনা সভার সভাপতিত্ব করেন বিদেশ বাংলা টিভি ও জয়যাত্রা টিভি অস্ট্রেলিয়ার প্রধান রহমতুল্লাহ, সঞ্চালনা করেন প্রবাস কণ্ঠের প্রকাশক ইউসুফ টুটুল। বক্তব্য রাখেন এসবিএস রেডিও’র একজিকিউটিভ প্রডিউসার আবু রেজা আরেফীন, মুক্তমঞ্চের সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল নোমান শামীম, বাংলাবার্তা পত্রিকার সম্পাদক আসলাম মোল্লা, জন্মভূমি টিভির তুষার খান, সময় টিভি’র আমিনুল ইসলাম রুবেল, আর টিভির অস্ট্রেলিয়া প্রতিনিধি কৃষ্ণ দে আকাশ, মিডিয়া ব্যক্তিত্ব শাওন অরিজিত, সজীব চৌধুরী, ফজলুল মিরাজ, ফাহাদ আসমার, শিমুল সিকদারসহ অনেকেই। এসময় ১৫ই আগস্টের শোক দিবসকে সামনে রেখে বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবারের নির্মম হত্যাকাণ্ড ও ইতিহাসের এই বিয়োগান্তক ঘটনাটি নিয়ে বঙ্গবন্ধু কন্যাদের নিয়ে সদ্য নির্মিত একটি গীতিচিত্রের প্রিমিয়ার অনুষ্ঠিত হয়। গীতিচিত্রটির গবেষক ও পরিচালক রেমন্ড সোলায়মান এসময় তাঁর টিম নিয়ে এটি প্রদর্শন করেন।

১৫ আগস্ট ২০২০, অস্ট্রেলিয়ার সিডনিতে বাঙালীপাড়া বলে খ্যাত লাকেম্বার একটি রেস্টুরেন্টে বাংলাদেশের জাতীয় শোক দিবস পালন করলো অস্ট্রেলিয়া যুবলীগ। Source: Al Noman Shamim
অস্ট্রেলিয়া যুবলীগের শোকদিবস পালন
১৫ আগস্ট ২০২০, সিডনিতে বাঙালীপাড়া বলে খ্যাত লাকেম্বার একটি রেস্টুরেন্টে বাংলাদেশের জাতীয় শোক দিবস পালন করে অস্ট্রেলিয়া যুবলীগ। ১৫ আগস্টের ভয়াবহ কালো রাতে নিহত হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালী জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব-সহ বঙ্গবন্ধু পরিবারের নিহতদের স্মরণে এই শোক সভায় মিলিত হোন অস্ট্রেলিয়া যুবলীগের নেতৃবৃন্দ।
করোনাকালের বাধ্যবাধকতায় সীমিত আকারে আয়োজিত এই স্মরণ সভায় শহীদ সবার রুহের মাগফেরাত কামনা করা হয় এবং এসময় যুবলীগের প্রতিষ্ঠাতা যুবনেতা শেখ মনির বিভিন্ন দিক দিয়ে আলোচনা করেন বক্তারা। বক্তব্য রাখেন অস্ট্রেলিয়া যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক আল নোমান শামীম, অপু সারোয়ার, মহীউদ্দীন কাদের, আলী আশরাফ হিমেল, নাফিস মহীউদ্দীন, সাব্বির খান, ইমরান হোসেইন, অস্ট্রেলিয়া আওয়ামী লীগের বিশেষ অতিথি সহ-সভাপতি এমদাদ হক ও অ্যাডভোকেট নির্মল্য তালুকদার প্রমুখ।
মেলবোর্ন আওয়ামী লীগ, অস্ট্রেলিয়া
গত ১৫ ই আগস্ট ২০২০, শনিবার মেলবোর্ন আওয়ামী লীগ, অষ্ট্রেলিয়ার উদ্যোগে মেলবোর্নে বাংলাদেশের জাতীয় শোক দিবস পালন করা হয়। কোভিড-১৯ এর কারণে মেলবোর্নে স্টেইজ-৪ রেস্ট্রিকশন এবং কারফিউ চলার কারণে এক ভার্চুয়াল অনুষ্ঠানের মাধ্যমে বঙ্গবন্ধুর জীবনের উপর এক চিত্র প্রদর্শনী, আলোচনা সভা এবং দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জীবনের উপর এক অনলাইন চিত্র প্রদর্শনী চলাকালে স্মৃতিচারণ করেন মেলবোর্ন আওয়ামী লীগ, অষ্ট্রেলিয়ার উদ্যোগে আয়োজিত অনুষ্ঠানে উপস্থিত নেতাকর্মী ও অতিথিগণ।
মেলবোর্ন আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ড. মাহবুব আলমের সভাপতিত্বে দলের সাধারন সম্পাদক মোল্লা মো. রাশিদুল হক সবাইকে স্বাগত জানিয়ে কুরআন তেলাওয়াতের মাধ্যমে অনুষ্ঠান শুরু করেন।
এরপর এক তথ্য ও গবেষণামূলক অনলাইন আলোচনা সভায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন মোল্লা মোঃ রাশিদুল হক। তিনি বঙ্গবন্ধুর জীবনী নিয়ে আলোচনা করা ছাড়াও বঙ্গবন্ধুর হত্যাকারীদের বিচারের উপর আলোকপাত করেন। তিনি বলেন যে, না চাইতেই বঙ্গবন্ধু জাতিকে যে দুস্প্রাপ্য স্বাধীনতা উপহার দিয়ে গেছেন তা জাতি এখনও বুঝে উঠতে পারছে না।

গত ১৫ ই আগস্ট ২০২০, শনিবার মেলবোর্ন আওয়ামী লীগ, অষ্ট্রেলিয়ার উদ্যোগে অনলাইনে মেলবোর্নে বাংলাদেশের জাতীয় শোক দিবস পালন করা হয়। Source: Molla Mohammad Rashidul Huq
মেলবোর্ন আওয়ামী লীগের উপদেস্টা, জ্বালানী বিশেষজ্ঞ, কনসালটেন্ট, ও বিশিষ্ট মুক্তিযোদ্ধা খন্দকার সালেক সূফি তার স্মৃতিচারণমূলক বক্তব্যে বলেন, বঙ্গবন্ধু তাদের বলেছিলেন যে, বাংলাদেশে প্রচুর তেল গ্যাস আছে, তা দিয়েই বাংলাদেশের মানুষের অনেক চাহিদা পূরণ হবে।
অস্ট্রেলিয়ার আরএমআইটি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক এবং মেলবোর্ন আওয়ামী লীগের উপদেস্টা জনাব সানিয়াত ইসলাম বলেন, বঙ্গবন্ধুর সবচেয়ে বড় সফলতা হলো উনি ৭ কোটি বাংলাদেশীকে জাতীয়তাবাদের ভিত্তিতে একত্রিত করতে সমর্থ হয়েছিলেন।
জনপ্রিয় লেখক শওকত ওসমানের দৌহিত্র এবং মাননীয় বিজ্ঞান মন্ত্রী ইয়াফেস ওসমানের ছেলে আইটি বিশেষজ্ঞ এশরার ওসমান তার বক্তব্যে বলেন, বঙ্গবন্ধুর আদর্শ শুধু আনুষ্ঠানিকতার মধ্যে সীমাবদ্ধ না রেখে মনে-প্রাণে আমাদেরকে লালন করতে হবে এবং আমাদের জীবনে তার প্রতিফলন ঘটাতে হবে।
নিউজিল্যান্ডে বাংলাদেশ সরকারের অনারারি কনসাল বীর মুক্তিযোদ্ধা ইঞ্জিনিয়ার শফিকুর রহমান অনু তার রাজনৈতিক অগ্রজ শেখ কামাল এবং ক্লাসমেট জনাব শেখ জামালের সাথে তার কাটানো সময়ের স্মৃতিচারণ করেন।
বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশন কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম সাধারন সম্পাদক রাশিদা হক কনিকা তার বাবা-ভাইসহ তার পরিবারের ৫ জন মুক্তিযোদ্ধাকে শ্রদ্ধাসহ স্মরণ করেন। তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর হত্যায় ষড়যন্ত্রকারী খন্দকার মুশতাকের মতো ঘরের শত্রু বিভীষণরা এখনো দলে আছেন।
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ, অস্ট্রেলিয়ার সভাপতি এডভোকেট সিরাজুল হক বলেন বাংলাদেশ এবং বঙ্গবন্ধু একই। বাংলাদেশের ইতিহাস জানতে হলে বঙ্গবন্ধুর ইতিহাস জানতে হবে। তিনি ১৯৯০ এর দশকে প্রশান্ত পাড়ে অস্ট্রেলিয়ায় বঙ্গবন্ধু পরিশদ এবং আওয়ামী লীগ প্রতিষ্ঠার ইতিহাস তুলে ধরেন।
কুমিল্লা জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি, এলজিআরডির প্রাক্তন প্রধান প্রকৌশলী জনাব ওয়াহিদুর রহমান বঙ্গবন্ধু হত্যা-পরবর্তী সময়ে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মী এবং মুক্তিযোদ্ধাদের কঠিন সময়ের কথা স্মরণ করেন।
মেলবোর্ন প্রবাসী চিত্রশিল্পী, লেখক এবং মুক্তিযোদ্ধার সন্তান হাসিনা চৌধুরী মিতা পরবর্তী প্রজন্মের কাছে মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস তুলে ধরে তাদের শিক্ষিত করার আহবান জানান।
ক্যানবেরা আওয়ামীলীগের সভাপতি ব্যারিস্টার ড. শামীম আলম বঙ্গবন্ধু এবং তার পরিবারের সকলের জন্যে সবার কাছে দোয়া চান। তিনি বলেন, ছোট বেলায় পারিবারিকভাবেই তিনি বঙ্গবন্ধুর আদর্শ, এবং মূল্যবোধকে হৃদয়ে ধারণ করেন।
মেলবোর্ন আওয়ামী লীগ নেতা গোলাম রহমান চৌধুরী তার বক্তব্যে দেশ এবং দল যে বঙ্গবন্ধুর আদর্শ থেকে বিচ্যুত হয়ে যাচ্ছে তার উপর আলোকপাত করেন।
মেলবোর্ন যুবলীগের সভাপতি মোঃ জেমস খান তার মুক্তিযোদ্ধা বাবার কাছ থেকে শোনা মুক্তিযুদ্ধ এবং বঙ্গবন্ধুর কথা স্মৃতিচারণ করেন। তিনি সকল শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করে বঙ্গবন্ধুর আদর্শে জীবন গড়ার প্রত্যয় জ্ঞাপন করেন।
মেলবোর্ন আওয়ামী লীগ নেতা মোঃ সালেহীন তার বক্তব্যে বাংলাদেশে মুক্তিযুদ্ধ যাদুঘর, বঙ্গবন্ধু যাদুঘর, এবং টুঙ্গীপাড়ায় বঙ্গবন্ধুর সমাধীকে ভার্চুয়াল আর্কাইভে অন্তর্ভুক্ত করে অনলাইনে দেখানোর ব্যবস্থা করার আহবান জানান, যাতে করে পরবর্তী প্রজন্ম এবং যারা সরাসরি যেতে পারছে না তারা যেন তা দেখতে পারে।
মোনাশ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক এবং গবেষক ড. শেখ আলিফ তার বক্তব্যে বাংলাদেশে সংঘটিত বিব্রতকর দূর্নীতি রোধকল্পে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার হস্তক্ষেপ কামনা করেন।
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন মেলবোর্ন আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি আজহারুল ইসলাম সোহাগ, মেলবোর্ন আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি মোঃ শহীদ সরকার, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জনাব আবু সাদেক-সহ আরও অনেকে।
সমাপনী বক্তব্যে ড. মাহবুবুল আলম জাতির জনক বঙ্গবন্ধু-সহ যারা ভাষা আন্দোলন থেকে শুরু করে স্বাধীনতা সংগ্রাম ও পরবর্তীতে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় যারা জীবন দান করেছেন তাদের রুহের মাগফেরাত কামনা করেন। তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর আদর্শ আমাদের পরবর্তী প্রজন্মকে জানাতে হবে যেটা ইতিমধ্যেই বাংলাদেশ সরকার প্রাথমিক শিক্ষা ব্যবস্থায় বঙ্গবন্ধুর জীবনী অন্তর্গত করার মাধ্যমে পরবর্তী প্রজন্মকে বঙ্গবন্ধুর জীবনী তথা আমাদের ইতিহাস শিক্ষা দিচ্ছে। তিনি আরো উল্লেখ করেন যে, মেলবোর্নেও বাংলা স্কুল প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত দেরকে বাংলাদেশের ইতিহাস ও স্বীকৃতি শিক্ষা দেওয়া হচ্ছে।
এছাড়া ব্রিসবেনসহ অস্ট্রেলিয়ার অন্যান্য স্থানেও দিনটি যথাযথ মর্যাদায় পালিত হয়।
তথ্যসূত্র: সংবাদ বিজ্ঞপ্তি