এদিকে ৩ মে-র পরেও লকডাউন উঠবে না হটস্পট অঞ্চলগুলিতে।সোমবার মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে ভিডিও বৈঠকে তেমনটাই ইঙ্গিত দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। বৈঠকে উপস্থিতি ন'জন মুখ্যমন্ত্রীর মধ্যে পাঁচজন জানান, লকডাউন তুলে নেওয়া উচিত।বাকিরা অবশ্য কোভিড-১৯ সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণের কারণে লকডাউন বাড়ানোরই পক্ষে।সূত্রানুসারে, প্রধানমন্ত্রী সমস্ত রাজ্যগুলিকে বলেন লকডাউন তুলে নেওয়ার প্রস্তুতি শুরু করতে।প্রধানমন্ত্রী প্রতিটি রাজ্যকে বলেছেন, রাজ্যের জেলাগুলিকে সংক্রমণের তীব্রতা অনুসারে রেড, গ্রিন ও অরেঞ্জ হিসেবে ভাগ করতে।বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন বিহার, ওড়িশা, গুজরাত, হরিয়ানা, উত্তরাখণ্ড, হিমাচল প্রদেশ ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল পুঁদুচেরির মুখ্যমন্ত্রীরা।উত্তর-পূর্বের রাজ্যের মধ্যে মেঘালয় ও মিজোরামও তাদের মতামত জানিয়েছে।বৈঠকে উপস্থিত থাকলেও কোন কথা বলার সুযোগ না পেয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের তরফের যে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে, তা লকডাউন নয় বলেই মন্তব্য করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।তাঁর কথায়, লকডাউন নিয়ে যা সিদ্ধান্ত নেওয়ার কেন্দ্র নিক।আমরা জোন ভাগ করে দেব।রাজ্যকে তো আমাদেরই চালাতে হবে।সাংবাদিক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন,জোন চিহ্নিত করে ব্যবস্থা নেবে রাজ্যই।গ্রামের দিকে কীভাবে কাজকর্ম চালু করা যায়,খতিয়ে দেখা হচ্ছে।করোনা পরিস্থিতি নিয়ে তদারকিতে অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্রের নেতৃত্বে মন্ত্রীগোষ্ঠী গড়ে দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।সেই গোষ্ঠীতে আছেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়, ফিরহাদ হাকিম, চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য, মুখ্যসচিব রাজীব সিনহা, স্বাস্থ্য সচিবও।
এর মধ্যেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন,রাজ্য যদি জোন হিসেবে তালিকা প্রকাশ করে, তাহলে মানুষ আরও সতর্ক থাকতে পারবেন।আপাতত ২১ মে পর্যন্ত এরকমই চলবে।তাঁর অভিযোগ, একটা করে সার্কুলার দিয়ে দিচ্ছে, আলোচনা ছাড়াই,স্টেটকে জিগ্যেস করাই হচ্ছে না।বলছে লকডাউন কঠোর করতে হবে।অথচ সব দোকান খুলে দেওয়ার কথা বলছে।এবার আমি মানুষকে কীভাবে বলব, দোকানে যাবেন না!দোকানদারদের কীভাবে বলব দোকান খুলবেন না।কোনও স্বচ্ছতা নেই।রাজ্যের সঙ্গে কিছুই আলোচনা করা হচ্ছে না।মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঘোষণা করেছেন,টেলিমেডিসিনের মাধ্যমে বাড়িতে বসেই চিকিৎসা করাতে পারেন।লকডাউন বৃদ্ধির ইঙ্গিত দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। লকডাউন বাড়ুক না বাড়ুক, আমরা ২১ মে পর্যন্ত খুব সাবধানে চলব। বাড়িতে থাকুন। হোম কোয়ারানটিন থাকুন, সেটাই সবচেয়ে নিরাপদ, বলেছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
অন্যদিকে করোনা ভাইরাস পরীক্ষায় চিনের সংস্থার থেকে যে পরীক্ষার কিট কেনার বরাত দেওয়া হয়েছে, তা বাতিল করা হয়েছে, এবং এখনও পর্যন্ত টাকা দেওয়া হয়নি, ফলে এক টাকাও অপচয় হবে না, চিনা পরীক্ষার কিট নিয়ে তৈরি হওয়া বিতর্কের মধ্যেই সোমবার জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় সরকার।করোনা ভাইরাস পরীক্ষায় গুয়াংঝাউ ওন্ডফো বায়োটেক এবং ঝুয়াই লিভজোন ডায়াগোনস্টিকের তৈরি কিটকে কাজের অযোগ্য বলে ঘোষণা করেছে ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অফ মেডিক্যাল রিসার্চ,এমনটাই জানানো হয়েছে সরকারের তরফে।এই দুই চিনা সংস্থার তৈরি কিট ব্যবহার না করার জন্য রাজ্য ও হাসপাতালগুলিকে জানিয়েছে তারা,এক সরকারি বিবৃতিতে বলা হয়েছে, প্রক্রিয়ার মধ্যে রয়েছে ,১০০ শতাংশ অগ্রিম টাকা দিয়ে তৈরি, এক টাকাও অপচয় করতে নারাজ ভারত সরকার।