বুধবার প্রেসিডেন্ট কার্যালয়ের তরফে দেয়া একটি ফেসবুক পোস্টের অস্বাক্ষরিত নোটিশে এ কথা জানানো হয়েছে। নোটিশে বলা হয়েছে, "প্রেসিডেন্ট উ থিন কিয়াও ২১শে মার্চ পদত্যাগ করেছেন।" পদত্যাগের বিস্তারিত কারণ না জানিয়ে নোটিশে বলা হয়েছে, ‘‘তিনি বর্তমান দায়িত্ব থেকে বিশ্রাম নিতে চান।’’ তার এই পদত্যাগ তাৎক্ষণিকভাবে কার্যকর হবে। আগামী ৭ কার্যদিবসের মধ্যে ভাইস প্রেসিডেন্ট উ মিইন্ত সোয়ে ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্ট হিসেবে তার স্থলাভিষিক্ত হবেন। মিয়ানমারের পার্লামেন্ট ‘পিদাউংসু’ তার বিকল্প কাউকে মনোনীত করার আগ পর্যন্ত উ মিইন্ত সোয়ে কাজ চালিয়ে যাবেন।
সম্প্রতি সরকারের তরফ থেকে জানানো হয় যে, উ থিন কিয়াও বেশ কিছুদিন ধরে শারীরিকভাবে অসুস্থ। চিকিৎসার জন্য তাকে বেশ কয়েকবার বিদেশ যেতে হয়েছে। সর্বশেষ গত জানুয়ারিতেও সিঙ্গাপুরে চিকিৎসা নিয়েছেন উ থিন কিয়াও।

Htin Kyaw was Aung San Suu Kyi's childhood friend and longtime adviser. Source: AAP
সু চি'র দল ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্রেসির (এনএলডি) মুখপাত্র অং সিং বলেছেন, "অসুস্থতার জন্যই পদত্যাগ করেছেন উ থিন।"
এমন এক সময়ে মিয়ানমারের প্রেসিডেন্ট পদে পরিবর্তন হলো, যখন রাখাইনে সেনা অভিযানে ব্যাপক মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের তোপের মুখে রয়েছে সু চি'র সরকার। গত অগাস্টে রাখাইন রাজ্যে সেনা অভিযান শুরুর পর প্রায় সাত লাখ রোহিঙ্গা মুসলমান সীমান্ত পেরিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে।
উ থিন কিয়াও মিয়ানমারের রাষ্ট্রপ্রধানের দায়িত্ব পালন করে এলেও কার্যত সরকার চালিয়ে আসছিলেন মিয়ানমারের নেত্রী অং সান সু চি। বিদেশি নাগরিককে বিয়ে করায় মিয়ানমারের সংবিধান অনুযায়ী প্রেসিডেন্ট হওয়ার সুযোগ ছিল না সু চি'র। ফলে ২০১৬ সালের ঐতিহাসিক নির্বাচনে এনএলডি'র বড় জয়ে মিয়ানমারে দীর্ঘ সামরিক নেতৃত্বের অবসান ঘটলে নোবেল জয়ী সু চি প্রেসিডেন্ট পদের জন্য বেছে নেন তার ছেলেবেলার বন্ধু উ থিন কিয়াও'কে।নিরব ও নির্ভরযোগ্য মানুষ হিসেবে দেখা হতো থিন কিয়াও'কে। সু চি তাকে পুরোপুরি বিশ্বাস করতেন।
Share


