যুক্তরাষ্ট্র-ভিত্তিক ফোর্বস ম্যাগাজিনের ২০১৯ সালের ‘থার্টি আন্ডার থার্টি এশিয়া লিস্ট’-এ স্থান পেয়েছেন দু’জন বাংলাদেশী তরুণ।
“কনজুমার টেকনোলজি” খাতে এশিয়া ও প্রশান্তমহাসাগরীয় অঞ্চলের শীর্ষ ৩০ উদ্যোক্তাদের একজন হিসেবে স্থান পেয়েছেন বাংলাদেশে রাইড শেয়ারিং সেবা “পাঠাও”-এর প্রধান নির্বাহী হুসাইন এম ইলিয়াস।
আর, “মিডিয়া, মার্কেটিং অ্যান্ড অ্যাডভার্টাইজিং” ক্যাটাগরির সেরা ৩০ তরুণের তালিকায় নাম এসেছে বাংলাদেশের কার্টুনিস্ট আবদুল্লাহ্ আল মোরশেদ ওরফে মোরশেদ মিশুর।
“দি গ্লোবাল হ্যাপিনেস চ্যালেঞ্জ” শিরোনামে ধারাবাহিক কার্টুন এঁকে দেশে-বিদেশে সুনাম অর্জন করেছেন তিনি।
নতুন উদ্যোগ, নেতৃত্ব দেওয়ার সক্ষমতা, উদ্ভাবনী চিন্তা ও সাফল্যের বিবেচনায় বরাবরের মতো এবারও মোট দশটি ক্যাটাগরিতে সেরাদের নিয়ে তিনশ’ জনের এই তালিকা তৈরি করেছে ফোর্বস। মোট ২৩টি দেশের উদ্যোক্তা ও গেম-চেঞ্জাররা এ বছরের এই তালিকায় স্থান পেয়েছেন।
এবারের তালিকায় শীর্ষে রয়েছে চীন, এরপর ভারত। চীনের ৬১ জন এবং ভারতের ৫৯ জন এতে স্থান করে নিয়েছেন।
২০১৬ সালে অ্যাপ-ভিত্তিক রাইড-শেয়ারিং প্লাটফরম “পাঠাও” তৈরি করেছেন হুসেইন এম ইলিয়াস ও সিফাত আদনান। এটি ব্যবহার করে যাত্রীরা সময় মতো গন্তব্যে পৌঁছুতে পারেন। এই সেবার মাধ্যমে খাবারও পৌঁছানো হয়। ঢাকা ও চট্টগ্রামে ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হচ্ছে এই সেবা। বাংলাদেশের মোট চারটি বড় শহর ছাড়াও এই সেবা বিস্তৃত হয়েছে নেপালের কাঠমাণ্ডুতে। “পাঠাও”-এর মাধ্যমে বহু লোকের কর্ম-সংস্থানের সুযোগ তৈরি হয়েছে। বর্তমানে এর বাজার দর ১০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলারেরও বেশি।
ঢাকা-ভিত্তিক স্যাটায়ার ম্যাগাজিন উন্মাদের সহকারী সম্পাদক আবদুল্লাহ আল মোরশেদ ২০১৮ সালে শুরু করেন তার “গ্লোবাল হ্যাপিনেস চ্যালেঞ্জ” সিরিজ। এর মাধ্যমে তিনি সংবাদ মাধ্যম এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া নির্মমতা ও বেদনার ছবিগুলোকে পাল্টে দিতে থাকেন। যুদ্ধ ও ধ্বংসের বিরুদ্ধে তার এই কলম-তুলির লড়াই নজর কাড়ে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের। এই চ্যালেঞ্জে যোগ দেন অন্যান্য দেশের কার্টুনিস্টরাও।
২০১২ সাল থেকে কার্টুনকে পেশা হিসেবে গ্রহণ করেন মোরশেদ মিশু।