আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের সংখ্যাকে আবাসন সংকটের জন্য দায়ী করার প্রবণতা রয়েছে, অথচ গবেষণা বলছে ভিন্ন কথা।
আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের নিয়মিতভাবে আবাসন সংকটের জন্য দায়ী করা হয়।
ভিক্টোরিয়ার লিবারেল সিনেটর জেন হিউম স্কাই নিউজকে বলেছেন যে বিরোধী দলও এই ধারণার সঙ্গে একমত।
তিনি বলেন,"আমরা অস্ট্রেলিয়ায় একটি আবাসন সংকটের মধ্যে আছি এবং এটি মোকাবিলা করার জন্য কিছু পদক্ষেপ নিতে হবে। আমরা জানি যে বিদেশি শিক্ষার্থীরা বিশেষ করে আমাদের মেট্রোপলিটন বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর আশপাশে ব্যতিক্রমী চাপ সৃষ্টি করে।"
বিরোধী দলের শিক্ষা বিষয়ক মুখপাত্র সারাহ হেন্ডারসন বলেছেন, লিবারেল-ন্যাশনাল পার্টি (এলএনপি) আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের সংখ্যা সীমিত করতে আরও কঠোর ও কার্যকর নিয়ম চালু করতে চায়।
এদিকে, লেবার সরকার গত বছর শিক্ষার্থী সংখ্যা সীমিত করার চেষ্টা করেছিল, কিন্তু সিনেটের সমর্থন না পাওয়ায় সেই পরিকল্পনা বাতিল করা হয়।
সাউথ অস্ট্রেলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগী অধ্যাপক মাইকেল মু বলেছেন, সরকারি বিভাগ এবং অস্ট্রেলিয়ান ব্যুরো অব স্ট্যাটিস্টিকসের তথ্য** বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে যে আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের সংখ্যা বৃদ্ধি ও বাড়ি ভাড়ার ঊর্ধ্বগতির মধ্যে সরাসরি কোনো সম্পর্ক নেই।
প্রকৃত চিত্র হচ্ছে আবাসন পেতে আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীরা আসলে প্রতিযোগিতায় পিছিয়ে
স্টুডেন্ট অ্যাকোমোডেশন কাউন্সিলের গবেষণা অনুসারে, আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীরা জাতীয়ভাবে মোট ভাড়াটিয়াদের মাত্র ৬ শতাংশ, যা মূলত রাজধানী শহরগুলোতে কেন্দ্রীভূত।
এর মধ্যে ৩৯ শতাংশ শিক্ষার্থী নির্দিষ্ট ছাত্রাবাসে থাকে।
কাউন্সিলের সদস্য টরি ব্রাউন বলেন, আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীরা বেসরকারি ভাড়ার বাজারে প্রতিযোগিতায় দুর্বল অবস্থানে থাকে।
আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীরা প্রতি বছর অস্ট্রেলিয়ার অর্থনীতিতে প্রায় ৫০ বিলিয়ন ডলার অবদান রাখে।
অর্থনীতিবিদরা সতর্ক করেছেন যে শিক্ষার্থী সংখ্যার ওপর কঠোর সীমা আরোপ করা হলে এটি দেশের অর্থনীতিতে বড় ক্ষতি ডেকে আনতে পারে, বিশেষ করে সম্ভাব্য মার্কিন শুল্কের (tariff) প্রেক্ষাপটে।
নিউ সাউথ ওয়েলস বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক রিচার্ড হোল্ডেন বলেন, এই সীমাবদ্ধতা অস্ট্রেলিয়ার আয়ের সম্ভাবনাকে হুমকির মুখে ফেলতে পারে এবং আন্তর্জাতিক বাণিজ্য সম্পর্কেও নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে।
**নতুন গবেষণাটি ২০১৭ থেকে ২০২৪ সালের মধ্যে সরকারি বিভাগ এবং অস্ট্রেলিয়ান ব্যুরো অব স্ট্যাটিস্টিকসের তথ্য বিশ্লেষণ করে করা হয়েছে।
সম্পূর্ণ প্রতিবেদনটি শুনতে উপরের অডিও-প্লেয়ারটিতে ক্লিক করুন।
এসবিএস বাংলা এখন অস্ট্রেলিয়ায় বসবাসরত দক্ষিণ এশীয় সকল জনগোষ্ঠীর জন্য এসবিএস সাউথ এশিয়ান চ্যানেলের অংশ।
এসবিএস বাংলা লাইভ শুনুন প্রতি সোম ও বৃহস্পতিবার বিকাল ৩টায় এসবিএস সাউথ এশিয়ান-এ, ডিজিটাল রেডিওতে, কিংবা, আপনার টেলিভিশনের ৩০৫ নম্বর চ্যানেলে। এছাড়া, এসবিএস অডিও অ্যাপ-এ কিংবা আমাদের ওয়েবসাইটে। ভিজিট করুন www.sbs.com.au/bangla