এন্ড্রু কিশোর ১৯৭৭ সালে আলম খানের সুরে ‘মেইল ট্রেন’ চলচ্চিত্রে "অচিনপুরের রাজকুমারী নেই যে তার কেউ" এই গান দিয়ে চলচ্চিত্রে প্লেব্যাক শুরু করেন। এরপর তাকে আর পেছনে ফিরতে হয়নি শুধুই এগিয়ে যাওয়া। জনপ্রিয় কণ্ঠশিল্পী হিসেবে বাংলাদেশ ও ভারতের পশ্চিমবঙ্গ দুই দেশের শ্রোতাদের মাতিয়েছেন তিনি।একের পর এক জনপ্রিয় গান উপহার দিয়েছেন।
তিনি গেয়েছেন " হায়রে মানুষ রঙিন ফানুস’","‘ডাক দিয়াছেন দয়াল আমারে", "জীবনের গল্প আছে বাকি অল্প", "আমার বুকের মধ্যেখানে’","আমার সারা দেহ খেয়ো গো মাটি" ,"আমার বাবার মুখে প্রথম যেদিন শুনেছিলাম গান","পদ্মপাতার পানি", "ভেঙেছে পিঞ্জর মেলেছে ডানা" "‘সবাই তো ভালোবাসা চায়", "পড়ে না চোখের পলক", "ওগো বিদেশিনী", "‘আমি চিরকাল প্রেমের কাঙ্গাল" সহ আরো অনেক জনপ্রিয় গান।
এন্ড্রু কিশোর ২০১৯ সালের সেপ্টেম্বরে অসুস্থ হয়ে পড়ার আগ পর্যন্ত ব্যাস্ত ছিলেন প্লেব্যাক ও স্টেজ শো নিয়ে।সবশেষে আলম খানের সুর - সংগীতে ও প্রয়াত কবি সৈয়দ শামসুল হকের লেখা তিনটি গান গেয়েছিলেন তিনি।তার বেশিরভাগ গানের সুরকার ছিলেন আহমেদ ইমতিয়াজ বুলবুল, আলম খান, আলাউদ্দিন আলীর মতো সুরকাররা। ভারতের প্রখ্যাত সুরকার আর ডি বর্মণের সুরেও গান গেয়েছেন তিনি।এন্ড্রু কিশোর কলকাতার বেশ কয়েকটি সিনেমায় গান গেয়েছেন। এ ছাড়া এন্ড্রু কিশোর গান করেছেন শেখ সাদী খান, ইমন সাহা, আলী আকরাম শুভসহ অনেকের সুরে ।
এন্ড্রু কিশোরের এক ছেলে ও এক মেয়ে। তাঁরা দুজনেই অস্ট্রেলিয়ায় থাকেন। মেয়ে মিনিম এন্ড্রু সংজ্ঞা সিডনিতে গ্রাফিক ডিজাইন ও ছেলে জে এন্ড্রু সপ্তক মেলবোর্নে ফ্যাশন ডিজাইনিংয়ে পড়াশোনা করছেন।