অস্ট্রেলিয়ার হোম মিনিস্টার পিটার ডাটন বলেছেন, করোনাভাইরাসের বিস্তার কিভাবে হলো সে প্রশ্নের 'স্বচ্ছ জবাব' অস্ট্রেলিয়ানদের কাছে চায়নাকে দিতে হবে।
মিঃ ডাটন বলেন, অস্ট্রেলিয়াতে ৬০ জনেরও বেশি মানুষ এই ভাইরাসে মারা গেছেন, তাদের পরিবারগুলোর কাছে জবাব দিতে হবে এই ভাইরাসের উৎপত্তি কিভাবে হলো।
নাইন নেটওয়ার্কের সাথে শুক্রবার তিনি বলেন, "আমি মনে করি চায়নার এটা দায়িত্ব মানুষকে জানানো ঠিক কিভাবে এই ঘটনা ঘটলো।"
বিরোধী নেতা এন্থনি আলবানিজি বলেন, চায়না গণতান্ত্রিক দেশ হলে রোগটির কারণ এবং বিস্তার সম্পর্কিত তথ্যে সেখানে অধিকতর স্বচ্ছতা থাকতো।
তিনি সাংবাদিকদের বলেন, "সেখানে রোগটি বিস্তারের নানা ভিত্তিহীন তথ্যের ছড়াছড়ি, সামাজিক মাধ্যমেও তা ছড়িয়ে পড়েছে - কিন্তু আমরা চাই সঠিক তথ্য।"
ডেপুটি প্রাইম মিনিস্টার মাইকেল ম্যাককরমেক বলেন যে, তারা চায়নাকে কিভাবে তাদের সরকার চলবে সে সম্পর্কে জ্ঞান দিতে চান না, কিন্তু এ ব্যাপারে এশিয়ান সুপারপাওয়ারের ব্যাখ্যা দেয়ার প্রয়োজন আছে এটা অনুধাবন করেন।

Source: SBS
প্রাইম মিনিস্টার স্কট মরিসন বলেন, এই সংকট কেটে গেলে অস্ট্রেলিয়া চায়নার সাথে জোরালো বাণিজ্য সম্পর্ক অব্যাহত রাখতে ইচ্ছুক, কিন্তু সেই সাথে কিছু সতর্কতার কথাও যোগ করেন।
তিনি 3AW রেডিওকে বলেন ,"চায়নার সাথে আমাদের 'eyes-wide-open' (ভালো বোঝাপড়া) সম্পর্ক বিদ্যমান।"
এদিকে ওয়াশিংটন থেকে এসোসিয়েটেড প্রেস রিপোর্ট করেছে যে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং তার কিছু কর্মকর্তা ভিন্ন এক তত্ত্ব হাজির করতে চাইছেন যে এই ভাইরাসটি কোন চাইনিজ ল্যাব থেকে বেরিয়ে এসেছে।

Source: SBS
মিঃ ট্রাম্প বলেন, "আমরা এই কথা বার বার শুনছি।"
সেইসাথে মার্কিন সেক্রেটারি অফ স্টেট মাইক পম্পেও বলেছেন যে 'এতো যে কথা হচ্ছে' তাতে চায়না কোন উত্তরই দিচ্ছে না।
বার্তা সংস্থা এসোসিয়েটেড প্রেস জানায়, বিজ্ঞানীরা বলছেন যে প্রাকৃতিকভাবে বাদুড়ের মধ্যে এই ভাইরাসের অস্তিত্ব রয়েছে। তাদের বক্তব্য, যে তত্ত্বটি এক্ষেত্রে সবচেয়ে জোরালো তা হলো উহানের কোন বন্যপ্রাণী কেনাবেচার মার্কেট থেকে ভাইরাসটি মানুষের সংস্পর্শে আসে, সম্ভবত বাদুড় থেকে কোন প্রাণীর মধ্যে ভাইরাসটি বিস্তার লাভ করে।
অস্ট্রেলিয়াতে অদ্যাবধি ৬,৫০০-এরও বেশি মানুষ এই ভাইরাসে সংক্রমিত হয়েছে এবং ৬৫ জন প্রাণ হারিয়েছেন।
আরো পড়ুন: