বাংলাদেশে থেকে প্রায় ১৬ বছর আগে অস্ট্রেলিয়ায় এসেছেন রাফিউর রহমান রাফি।
২০১৩ সালে তিনি নিউ সাউথ ওয়েলসের TAFE Ultimo থেকে ফটোগ্রাফি নিয়ে পড়াশোনা করেন। বর্তমানে তিনি একজন ফ্রিল্যান্স ফটোগ্রাফার হিসেবে সিডনিতে কাজ করছেন।
নিউবর্ন, স্ট্রিট ফটোগ্রাফি এবং বুডোয়া (নারীদের সাজঘর) এর মতো বিভিন্ন ধরনের ফটোগ্রাফি স্টাইল নিয়ে নাড়াচাড়া করার পর এখন তিনি ফ্যাশন ও বিউটি ফটোগ্রাফিতে আগ্রহী হয়েছেন। এক্ষেত্রে তার বড় অনুপ্রেরণা হলো বিশ্ববিখ্যাত ফ্যাশন ফটোগ্রাফার মারিও টেস্টিনো।
“আমি যখন ফটোগ্রাফি নিয়ে কাজ শুরু করলাম, তখন আমি বিখ্যাত ফ্যাশন ফটোগ্রাফার মারিও টেস্টিনোর কাজ দেখে ফ্যাশন ফটোগ্রাফিতে অনুপ্রাণিত হই,” বলেন রাফি।

Source: Rafiur Rahman
রাফি বলেন, তিনি অস্ট্রেলিয়ার লাউড ম্যাগাজিনের মেক-আপ আর্টিস্ট ও চিফ এডিটর ট্রিশ লি-র সঙ্গে কাজ করেছেন। কাজ করেছেন, তিন বার অস্ট্রেলিয়ান মেক-আপ আর্টিস্ট অফ দি ইয়ার বিজয়ী হওয়া র্যাচেল মন্টগোমারির সঙ্গে এবং ২০১২ সালে অস্ট্রেলিয়ান ফ্যাশন ডিজাইনার অফ দি ইয়ার নির্বাচিত হওয়া ডিজাইনার সুজান মুটেসির সঙ্গে।
“আমি লাউড ম্যাগাজিনের চিফ এডিটর ট্রিশ লি-র সঙ্গে কাজ করেছি। এছাড়া, পুরস্কারপ্রাপ্ত মেক-আপ আর্টিস্ট র্যাচেল মন্টগোমারি ও অস্ট্রেলিয়ান ফ্যাশন ডিজাইনার অফ দি ইয়ার নির্বাচিত হওয়া ডিজাইনার সুজান মুটেসির সঙ্গেও কাজ করেছি।”
সম্প্রতি তিনি হলিউডের সেলিব্রিটি মেক-আপ আর্টিস্ট নিকাহ ফুলার-এর সঙ্গে কাজ করেছেন।
“সম্প্রতি আমি হলিউডের সেলিব্রিটি মেক-আপ আর্টিস্ট নিকাহ ফুলার-এর সঙ্গে কাজ করেছি।”
ফটোগ্রাফিতে রাফির এ পর্যন্ত সবচেয়ে বড় অর্জন হলো অস্ট্রেলেশিয়ার টপ ইমার্জিং ফটোগ্রাফার্স ২০১৯ এর ফ্যাশন/এডিটোরিয়াল ক্যাটাগরিতে দশম স্থান লাভ করা।

Source: Rafiur Rahman
প্রতিবছর তারা বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে উদীয়মান ফটোগ্রাফারদেরকে নিয়ে প্রতিযোগিতার আয়োজন করে থাকে।
তার ফটোগ্রাফি আন্তর্জাতিকভাবে ভোগ ইটালিয়া, এলিমেন্টস ম্যাগাজিন, এলিগেন্টস ম্যাগাজিন এবং সুররিয়েল বিউটি ম্যাগাজিনে প্রকাশিত হয়েছে।
অস্ট্রেলিয়ায় পেশাদার ফটোগ্রাফির ক্ষেত্রে বিভিন্ন চ্যালেঞ্জের কথা বলেন রাফি।
“এ দেশে ফটোগ্রাফিকে পেশা হিসেবে গ্রহণ করাটা আসলেই অনেক চ্যালেঞ্জিং। অনেক দক্ষতার প্রয়োজন হয়। পাশাপাশি এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় প্রাতিষ্ঠানিক পড়াশোনা করারও দরকার আছে।”

Source: Rafiur Rahman
আজকাল ভাল মানের ক্যামেরা অনেকের হাতেই দেখা যায়। মোবাইল ফোন সেটগুলো দিয়েও ভাল মানের ছবি তোলা সম্ভব। একজন দক্ষ ও পেশাদার ফটোগ্রাফারের সঙ্গে সাধারণভাবে যারা ছবি তোলেন তাদের মধ্যে কী পার্থক্য রয়েছে, এ বিষয়ে প্রশ্ন করলে রাফি বলেন,
“একজন দক্ষ ফটোগ্রাফার যখন ছবি তোলেন তখন তিনি ছবির বিষয়-বস্তু, ফ্রেম, লাইটিং এবং সামগ্রিকভাবে বিভিন্ন বিষয় তার বিবেচনায় রাখেন। আর, সাধারণ লোকেরাও কখনও কখনও ভাল ছবি তোলেন, তবে সেগুলোর পেছনে এতো দূর চিন্তা-ভাবনা থাকে না।”
“ইদানিং অস্ট্রেলিয়াতেও ভাল মানের বাংলাভাষী পেশাদার ফটোগ্রাফারের সংখ্যা বাড়ছে। তাদের মধ্যে কেউ কেউ ওয়েডিং ফটোগ্রাফার হিসেবে কাজ করছেন, কেউ কেউ পোরট্রেট ফটোগ্রাফার হিসেবে এবং রিয়েল এস্টেট ফটোগ্রাফার হিসেবেও কাজ করছেন।”
এই পেশায় আসতে হলে কী রকম প্রস্তুতি নিতে হবে, এ বিষয়ে রাফি বলেন,
“নিজেকে তৈরি করতে হবে। শিখতে হবে। সবার প্রথমে লাইটিং সম্পর্কে জানতে হবে। অন্যদের ভাল কাজগুলো দেখতে হবে। অ্যাকাডেমিক বা প্রাতিষ্ঠানিক পড়াশোনার সুযোগ থাকলে সেটা করা যেতে পারে। ভাল ফটোগ্রাফারের সহকারি হিসেবে কাজ করা যেতে পারে। অনলাইনে বা ইউটিউবেও লেসন দেখা যেতে পারে। আর সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে চর্চা করা।”
টেফ নিউ সাউথ ওয়েলসে ফটোগ্রাফি নিয়ে পড়াশোনা করার সুযোগ রয়েছে।
Follow SBS Bangla on FACEBOOK.

Professional photographer Rafiur Rahman. Source: Rafiur Rahman