অস্ট্রেলিয়ার ক্রিকেট এখন একটি ক্রান্তিলগ্নে পৌঁছেছে। একদিকে রয়েছে বাণিজ্যিক ক্ষেত্রে অভাবনীয় সাফল্য, রেকর্ড পরিমাণ অর্থ, ১.২ বিলিয়ন ডলারের টিভি রাইটস চুক্তি এবং অপরদিকে রয়েছে সুনাম নষ্ট হওয়ার বিষয়টি।
গত মার্চে সাউথ আফ্রিকায় বল টেম্পারিংয়ের কেলেঙ্কারিতে জড়িয়ে পড়ে অস্ট্রেলিয়া। জাতীয় দল থেকে এক বছরের জন্য নিষিদ্ধ হন তখনকার অধিনায়ক স্টিভেন স্মিথ ও সহ-অধিনায়ক ডেভিড ওয়ার্নার। আর, নয় মাসের জন্য নিষেধাজ্ঞা পান ক্যামেরন বেনক্রফট।

The review was ordered after the ball-tampering scandal involving Steve Smith, Dave Warner and Cameron Bancroft. Source: AAP
এই ঘটনায় শুধু এই ক্রিকেটারদেরকেই ব্যক্তিগতভাবে দায়ী করা যাবে না। এর জন্য ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ারও দায় আছে। অন্তত এ রকম কথাই বলা হয়েছে একটি তদন্ত প্রতিবেদনে।
বল টেম্পারিং কেলেঙ্কারির পর অস্ট্রেলিয়ার ক্রিকেট সংস্কৃতি নিয়ে স্বাধীনভাবে পর্যালোচনা করে সিডনিভিত্তিক নৈতিকতা কেন্দ্র “লংস্টাফ”। তাদের প্রতিবেদনটি গত সোমবার প্রকাশিত হয়। এরই ধারাবাহিকতায় সিএ চেয়ারম্যান ডেভিড পিভার পদত্যাগ করেন গত বৃহস্পতিবার।
১৪৫ পৃষ্ঠার সেই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সাউথ আফ্রিকায় বল টেম্পারিংয়ের ঘটনাটিকে কতিপয় খেলোয়াড়ের দ্বারা সম্পাদিত বিচ্ছিন্ন ঘটনা হিসেবে দেখা যাবে না। দলের খেলোয়াড়রা নিজেদেরকে দলের যন্ত্র হিসেবে মনে করেন, যার কাজ হলো যে-কোনো উপায়ে দলকে জেতানো। এর জন্য যে কতোটা মূল্য দিতে হচ্ছে তা কখনই বিবেচনায় রাখা হয় নি।
প্রতিবেদনটি বাংলায় শুনতে উপরের অডিও প্লেয়ারে ক্লিক করুন।






