শিকারীদের দৌরাত্ম্যে সেই ১৯৩০ এর দশকেই বিলুপ্ত হয়ে যায় ট্যাসমানিয়ান টাইগার বা থাইলেসিন।
এখন, একদল আন্তর্জাতিক বিজ্ঞানী মনে করছেন, তারা এটিকে আবারও ফিরিয়ে আনতে পারবেন।
ইউনিভার্সিটি অফ মেলবোর্নের থাইলেসিন ইন্টিগ্রেটেড জেনেটিক রেস্টোরেশন রিসার্চ ল্যাব-এর প্রফেসর অ্যান্ড্রু পাস্ক বলেন, আমরা আশাবাদী যে, আগামী এক দশকের মাঝে একটি এডিটেড সেল লাভ করতে পারবো এবং সেটা থেকে সেই প্রাণীটি আবারও ফিরিয়ে আনা যাবে।
READ MORE

নতুন এসবিএস রেডিও অ্যাপ ডাউনলোড করুন
যুক্তরাষ্ট্র-ভিত্তিক জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানি কোলোসাল-এর সঙ্গে পার্টনারশিপে কাজ করছে এই ল্যাবটি। অস্ট্রেলিয়ার এই একমাত্র মারসুপিয়াল এপেক্স প্রিডেটরটি পুনরায় ফিরিয়ে আনার লক্ষ্যে এখন উভয় প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞানীরা কাজ করছেন।
একটি জীবিত মারসুপিয়াল প্রজাতি, যেটির ডি-এন-এ থাইলেসিনের মতোই ফ্যাট টেইলড ডানার্ট, সেটি থেকে স্টেম সেল সংগ্রহের পরিকল্পনা করছেন এই বিজ্ঞানীরা। এর পরে, তারা জিন এডিটিং প্রযুক্তির মাধ্যমে এই বিলুপ্ত প্রজাতিটির কিংবা এর কাছাকাছি কিছুর ‘পুনরুজ্জীবন’ ঘটাতে চান।
এই প্রজেক্টে বিনিয়োগ করেছেন অস্ট্রেলিয়ান অভিনেতা ক্রিস এবং লুক হেমসওয়ার্থ। তবে কেউ কেউ মনে করেন, ট্যাসি টাইগার বিলুপ্ত হয় নি।
তাদের মধ্যে একজন হলেন থাইলেসিন অ্যাওয়ারনেস গ্রুপ অফ অস্ট্রেলিয়ার কো-ফাউন্ডার নেইল ওয়াটার্স। তিনি বলেন, বিগত ২০ বছর বা তারও বেশি সময়ে এমন বহু প্রাণীকে বিলুপ্ত ভাবা হয়েছে, যেগুলো আসলে বিলুপ্ত হয় নি।
বনে-জঙ্গলে, ঝোপে-ঝাড়ে সেগুলোর দেখা পাওয়ার আলাদা আলাদা বহু রিপোর্ট তারা পেয়েছেন। তাই তারা ডি-এক্সটিঙ্কশন প্রক্রিয়ার খরচ নিয়ে প্রশ্ন তোলেন।
গবেষকরা আত্মবিশ্বাসী যে, তারা এক্ষেত্রে অগ্রসর হতে পারবেন; আর এর মাধ্যমে কোয়ালা-সহ অন্যান্য বিপন্ন মারসুপিয়াল সংরক্ষণের উদ্যোগগুলোও এগিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে সহায়তা পাবে।
প্রতিবেদনটি শুনতে উপরের অডিও-প্লেয়ারটিতে ক্লিক করুন।
এসবিএস বাংলার অনুষ্ঠান শুনুন রেডিওতে, এসবিএস বাংলা রেডিও অ্যাপ-এ এবং আমাদের ওয়েবসাইটে, প্রতি সোম ও শনিবার সন্ধ্যা ৬ টা থেকে ৭ টা পর্যন্ত। রেডিও অনুষ্ঠান পরেও শুনতে পারবেন, ভিজিট করুন: এসবিএস বাংলা










