পঞ্চায়েত নির্বাচন প্রসঙ্গে তৃণমূলের তরফে রাজ্যের মন্ত্রী শশী পাঁজা দাবি করেছেন, “রাজ্যের ১৪টি জেলায় পুরোপুরি নির্বিঘ্নে এবং উৎসবের মেজাজে নির্বাচন হয়েছে, বাকি কয়েকটি জায়গায় কয়েকটি বুথে অশান্তির খবর এসেছে।“
অন্যদিকে পশ্চিমবঙ্গে নির্বাচনের ঘোষণা মানেই গণতন্ত্রের হত্যার শুরু হওয়া, এভাবেই তৃণমূল কংগ্রেসকে নিশানা করেছেন কেন্দ্রীয় তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুর। শনিবার রাজ্যজুড়ে খুন-বোমাবাজির আবহে পঞ্চায়েত ভোটগ্রহণ হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে সরব হয়েছে বিজেপি নেতৃত্ব।
অনুরাগ ঠাকুর বলেছেন, “নির্বাচনে পশ্চিমবঙ্গে সংঘর্ষ, গুলি চালানো, বোমাবাজির মতো ঘটনা খুবই সাধারণ বিষয় হয়ে গিয়েছে। ব্যালট বাক্স লুঠ করা হচ্ছে। গণতন্ত্রকে হত্যা করা হচ্ছে। মহিলাদের ওপর অত্যাচার চলছে।“
আসলে মনোনয়ন পর্ব থেকেই পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যে হিংসার অভিযোগ উঠেছে। রাজ্যের সব ভোটকেন্দ্রে কেন্দ্রীয় বাহিনী চেয়ে বিরোধীরা দ্বারস্থ হয়েছিলেন হাই কোর্টের। হাই কোর্ট ৮২২ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে ভোট করানোর নির্দেশ দেয়। জানায়, সব ভোটগ্রহণ কেন্দ্রে কেন্দ্রীয় বাহিনীর সদস্য রাখতে হবে। যদিও শেষ পর্যন্ত রাজ্যের সব ভোটগ্রহণ কেন্দ্রে পৌঁছতে পারেননি কেন্দ্রীয় বাহিনীর সদস্যেরা।
রাজ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীব সিংহ জানিয়েছেন, ৬০ হাজার বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের চেষ্টা করা হলেও শেষ পর্যন্ত এক চতুর্থাংশ ভোটেই তারা রয়েছে। তার পরেও হিংসার অভিযোগ থামেনি।
এদিকে ভোটের সকালে রাস্তায় ছিলেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। সাতসকালে রাজভবন থেকে বেরিয়ে বুথে বুথে গিয়েছেন তিনি। অশান্তিপ্রবণ এলাকায় বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের অভিযোগ শুনছেন তিনি।
এই অবস্থায়,অবিলম্বে পঞ্চায়েত ভোট বাতিলের দাবিতে কলকাতা হাই কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন কংগ্রেস মুখপাত্র তথা আইনজীবী কৌস্তভ বাগচি। অন্যদিকে নন্দীগ্রামের ভেকুটিয়ায় কেন্দ্রীয় বাহিনীর বিরুদ্ধে ভোটারদের প্রভাবিত করার অভিযোগ উঠেছে। সাধারণ মানুষ অবশ্য তাদের আবেদনে সাড়া দেয়নি বলেই দাবি তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষের।
এসবিএস বাংলার অনুষ্ঠান শুনুন রেডিওতে, এসবিএস বাংলা অডিও অ্যাপ-এ এবং আমাদের ওয়েবসাইটে, প্রতি সোম ও শনিবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে ৭টা পর্যন্ত।