অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী অ্যান্থোনি অ্যালবানিজি জানিয়েছেন, আগামী সপ্তাহে সিডনিতে কোয়াড বৈঠক হবে না। কারণ, মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন শেষ মুহূর্তে জানিয়েছেন, এই বৈঠকে তিনি উপস্থিত থাকতে পারবেন না।
ওয়াশিংটনে ঋণ নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা রয়েছে মিস্টার বাইডেনের। এদিকে, তাকে ছাড়াই শীর্ষ সম্মেলন নির্ধারিত সময়েই অনুষ্ঠিত হতে পারতো। তবে শেষ পর্যন্ত তা বাতিল করা হয়েছে।
অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী অ্যান্থোনি অ্যালবানিজি আরও জানিয়েছেন, মার্কিন প্রেসিডেন্ট এই সফর স্থগিত করার জন্য ক্ষমা চেয়েছেন। যত তাড়াতাড়ি সম্ভব জো বাইডেনের অস্ট্রেলিয়া সফর পুনঃনির্ধারণ করা হবে।
তবে কোয়াড বৈঠক না হলেও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে তাঁর দ্বিপাক্ষিক বৈঠক হতেই পারে সিডনিতে। এদিকে, ১৯ মে ত্রিদেশীয় সফরে যাবেন প্রধানমন্ত্রী মোদী। তিনি প্রথমে যাবেন জাপানের হিরোশিমায়, জি-৭ গোষ্ঠীভুক্ত সম্মেলনের আমন্ত্রিত দেশের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে। তারপরে পাপুয়া নিউগিনিতে ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরীয় দ্বীপ-রাষ্ট্রগুলির সহযোগিতা সম্মেলন সেরে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী যাবেন অস্ট্রেলিয়ায়।
অন্যদিকে, ইওরোপীয় ইউনিয়ন কাউন্সিলের নিয়মাবলীর বাইরে যায় নি ভারত। ইউনিয়নের বিদেশ নীতির প্রধানকে এভাবেই পাল্টা জবাব দিয়েছেন ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। অশোধিত তেল কিনে তা থেকে সামগ্রী বানানোয় ভারতকে নিশানা করে ইওরোপীয় ইউনিয়নের বিদেশ নীতির প্রধান জোসেপ বোরেল জানিয়েছেন, ভারত রাশিয়ার তেল কিনছে তা স্বাভাবিক। কিন্তু, তা থেকে সামগ্রী বানানো নিয়েই আপত্তি।
এরপরেই জবাবে ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর জানিয়েছেন, রাশিয়ার অশোধিত তেল কোনও তৃতীয় দেশে এলে তা আর রাশিয়ার থাকে না। জোসেপ বোরেলের একবার ইউরোপীয় ইউনিয়ন কাউন্সিলের নিয়মাবলীর ৮৩৩/২০১৪ ভাল করে দেখা উচিত। তবে ইওরোপীয় ইউনিয়নের ভাইস প্রেসিডেন্ট জানিয়েছেন, ভারত ও ইওরোপীয় ইউনিয়ন আসলে বন্ধু। এবং তারা কোনও আঙুল তুলছে না। বরং, হাত বাড়িয়ে দিচ্ছে সহযোগিতার।
উল্লেখ্য, রাশিয়া থেকে অশোধিত তেল কেনা নিয়ে প্রথম থেকেই ভারতের বিরুদ্ধে সরব হয়েছিল আমেরিকা। সেই সময়ে বিদেশমন্ত্রী বলেছিলেন, ইওরোপের দেশগুলি ভারতের তুলনায় অনেক বেশি পরিমাণে তেল কিনছে। তবুও তাদের বিরুদ্ধে কোনও অভিযোগ উঠছে না।
এর মধ্যে বলা হয়েছে, বাণিজ্য, বিনিয়োগ এবং রণনীতি-- এই তিন লক্ষ্য সামনে রেখে দীর্ঘদিন পর বিদেশ সফরে যাবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। ১৯ থেকে ২৪ মে পর্যন্ত চলবে তাঁর ত্রিদেশীয় সফর। প্রথমে যাবেন জাপানের হিরোশিমায়, জি-৭ গোষ্ঠীভুক্ত সম্মেলনের আমন্ত্রিত দেশের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে। তারপরে পাপুয়া নিউগিনিতে ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরীয় দ্বীপ-রাষ্ট্রগুলির সহযোগিতা সম্মেলন সেরে তিনি যাবেন অস্ট্রেলিয়ায় সিডনিতে।
বিদেশ মন্ত্রক সূত্রে খবর, জি-৭-এর বৈঠকে শান্তির বার্তা দিতে চলেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। কারণ, সেখানে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়ে স্পষ্টতই তীব্র মেরুকরণ তৈরি হবে। সেক্ষেত্রে, সংলাপ এবং আলোচনাই এমন একটি পরিসর যেখানে ভারসাম্য বজায় রেখেচলা সম্ভব এবং ইউক্রেন প্রশ্নে যা গত দেড় বছর ধরে করে চলেছে নরেন্দ্র মোদী সরকার।
কূটনৈতিক শিবিরের মতে, মোদীর পাপুয়া নিউগিনির বৈঠকটিও গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠতে চলেছে। পাপুয়া নিউগিনির সঙ্গে ভারতের কিছু চুক্তিপত্রও সই হওয়ার কথা।
এসবিএস বাংলার অনুষ্ঠান শুনুন রেডিওতে, এসবিএস বাংলা অডিও অ্যাপ-এ এবং আমাদের ওয়েবসাইটে, প্রতি সোম ও শনিবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে ৭টা পর্যন্ত।







