মাইক ইয়াং ১৬ বছর ধরে একজন ফার্মাসিস্ট হিসেবে কাজ করছেন। তিনি বলেন, আমি প্রায় ৭ বছর ধরে একজন কম্পাউন্ডিং ফার্মাসিস্ট হিসেবে কাজ করছি, কিন্তু আমাকে এর আগে কখনো অ্যান্টিবায়োটিক কম্পাউন্ড করে তৈরি করতে হয়নি।
কিন্তু সম্প্রতি এই পরিস্থিতি বদলে গিয়েছে।
মাইক ইয়াং বলেন, আমার কাছে একজন রোগী এসেছিল যে পাঁচটি ভিন্ন কেমিস্ট শপে গিয়েও তাঁর প্রয়োজনীয় অ্যান্টিবায়োটিক খুঁজে পায়নি। পরে আমাকে সেটি কম্পাউন্ড করে তৈরি করে দিতে হয়েছে।
READ MORE

নতুন এসবিএস রেডিও অ্যাপ ডাউনলোড করুন
কম্পাউন্ডিং কেমিস্টরা অ্যান্টিবায়োটিক তৈরি করতে পারেন, তবে মাইক ইয়াং বলেছেন যে সাধারণত এটি করা হয় নিয়মিত বাণিজ্যিক পণ্য যারা সহ্য করতে পারে না, তাঁদের জন্য।
কিন্তু এখন পরিস্থিতি সত্যিই উদ্বেগজনক।
বর্তমানে অস্ট্রেলিয়ায় ৩৬০ টিরও বেশি ঔষধের সরবরাহে সঙ্কট চলছে- যার মধ্যে ৪৫ টির গুরুতর ঘাটতি রয়েছে।
কিন্তু থেরাপিউটিক গুডস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন বলছে যে এটি গত তিন বছরে গড় মানের চেয়ে কম।
আর অ্যান্টিবায়োটিকের ক্ষেত্রে, ঘাটতির তালিকায় রয়েছে প্রায় ২০ টি ঔষধ।
টিজিএ প্রধান সহকারী অধ্যাপক জন স্কেরিট বলেন, এই সঙ্কট অবশ্য কেবল অস্ট্রেলিয়াতেই চলছে এমনটা নয়।
সাপ্লাই চেইন বা সরবরাহ ব্যবস্থার সমস্যা এবং প্রাকৃতিক দুর্যোগও এই ক্ষেত্রে একটি প্রধান ভূমিকা পালন করেছে।
ড: মাইকেল রাইট নিউ সাউথ ওয়েলসের রয়্যাল অস্ট্রেলিয়ান কলেজ অফ জেনারেল প্র্যাকটিশনার্সের ডেপুটি চেয়ারম্যান হিসেবে কর্মরত আছেন। তিনি বলেন, আমাদের দ্রুতই এই সমস্যার সমাধানে কাজে লেগে যেতে হবে।
টিজিএ বলছে, বেশ কয়েকটি পদক্ষেপ আপাতত এই সমস্যা সমাধানে সহায়তা করছে, যার মধ্যে রয়েছে উপযুক্ত বিকল্প খুঁজে বের করা।
কিছু কিছু ঔষধ যদি এখানেই অর্থাৎ অস্ট্রেলিয়াতেই উৎপাদন করা যেত তাহলে হয়ত এই সঙ্কট মোকাবেলা করা যেত। তবে সবগুলো ঔষধ এখানে উৎপাদন করা অসম্ভব হবে।
টিজিএ আশা করছে যে আগামী কয়েক মাসের মধ্যে এই অ্যান্টিবায়োটিকের ঘাটতি কমে যাবে - এবং তারা আশাবাদী যে আগামী ইস্টারের মধ্যে সরবরাহ স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসবে।
এসবিএস বাংলার অনুষ্ঠান শুনুন রেডিওতে, এসবিএস বাংলা রেডিও অ্যাপ-এ এবং আমাদের ওয়েবসাইটে, প্রতি সোম ও শনিবার সন্ধ্যা ৬ টা থেকে ৭ টা পর্যন্ত। রেডিও অনুষ্ঠান পরেও শুনতে পারবেন, ভিজিট করুন: এসবিএস বাংলা