গণভোটে অস্ট্রেলিয়ানরা ইনডিজেনাস ভয়েস টু পার্লামেন্ট প্রস্তাবটি প্রত্যাখ্যান করেছে মাস তিনেক আগে। এদিকে, কোনো কোনো লোকাল কাউন্সিল স্ব-উদ্যোগে এখন তাদের অ্যানুয়াল সিটিজেনশিপ সেরিমনির তারিখ পরিবর্তন করছে।
২৬ জানুয়ারি অস্ট্রেলিয়ার জাতীয় দিবস। প্রতিবছর এই দিনটিতে লোকাল কাউন্সিলগুলো নাগরিকত্ব অনুষ্ঠানের আয়োজন করে থাকে।
১৭৮৮ সালের এই দিনে অস্ট্রেলিয়ায় উপনিবেশ স্থাপন করা শুরু করেছিল ব্রিটিশ অভিযাত্রীরা। সেদিন তারা সিডনি কোভ-এ ব্রিটিশ পতাকা উত্তোলন করে দেশটিকে ব্রিটিশ কলোনি হিসেবে দাবি করেন।
কোনো কোনো অ্যাবরিজিনাল এবং টরে স্ট্রেইট আইল্যান্ডার জনগোষ্ঠীর কাছে এই দিনটি তাই শোক ও প্রতিবাদের দিন।
২৬ জানুয়ারির প্রতি দৃষ্টিভঙ্গি পরিবর্তনের অংশ হিসেবে এ বছর ৮১টি লোকাল কাউন্সিল তাদের স্থানীয় নাগরিকত্ব অনুষ্ঠান উদযাপনের তারিখ পরিবর্তন করেছে।
এই কাউন্সিলগুলোর মধ্যে রয়েছে ওয়েস্টার্ন অস্ট্রেলিয়ার ফ্রিম্যান্টল লোকাল কাউন্সিল। তারা তাদের অনুষ্ঠান ২৭ জানুয়ারিতে সরিয়ে নিয়েছে।
২৬ জানুয়ারি থেকে দৃষ্টি সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে সত্য প্রকাশের দিকে। আর, এই পরিবর্তনটিকে স্বাগত জানিয়েছেন অনেকেই।
ফ্রিম্যান্টলের অন্যদের মধ্যে কেউ কেউ বলেন, নাগরিকত্ব অনুষ্ঠানের তারিখ পরিবর্তন করাটাই যথেষ্ট নয়।
বছর খানেক আগে, ২০২২ সালের ডিসেম্বরে, অ্যালবানিজি সরকার তাদের পূর্ববর্তী কোয়ালিশন সরকারের করা ২০১৭ সালের নিয়মটি বাতিল করে। সেই নিয়ম অনুসারে, লোকাল কাউন্সিলগুলো শুধুমাত্র ২৬ জানুয়ারি তারিখেই সিটিজেনশিপ সেরিমনির আয়োজনে বাধ্য হতো। নতুবা, তারা এটি আয়োজনের উপযুক্ততা হারাতো।
ফলে, মেলবোর্নের দু’টি লোকাল কাউন্সিল, সিটি অব ইয়ারা এবং ডারাবিন সিটি কাউন্সিল, এই অনুষ্ঠান আয়োজনের উপযুক্ততা হারায়। তবে, পরবর্তীতে, অ্যালবানিজি সরকারের আমলে এসে তারা আবার উপযুক্ততা ফিরে পায়।
বর্তমানে, অস্ট্রেলিয়া ডে, অর্থাৎ, ২৬ জানুয়ারির তিন দিন আগে কিংবা তিন দিন পরে সিটিজেনশিপ সেরিমনির আয়োজন করা যাচ্ছে।
এছাড়া, বছর জুড়ে অন্যান্য সময়েও এর আয়োজন করা যাবে।
সাম্প্রতিক বছরগুলোতে, অস্ট্রেলিয়া ডে-র তারিখ ২৬ জানুয়ারি থেকে পরিবর্তন করার দাবি জোরালো হচ্ছে। ফার্স্ট নেশন্স জনগোষ্ঠীর ওপরে এই দিনগুলোর প্রভাব নিয়ে জনসচেতনতা বাড়ছে, মানুষ এখন এ বিষয়ে আরও বেশি জানছে। এর পেছনে অবশ্য ফার্স্ট নেশন্স কর্মীদের এবং রাজনীতিবিদদের প্রচেষ্টা ভূমিকা রয়েছে।
ভিক্টোরিয়ায় বার্ষিক প্যারেডে প্রতিবাদ কর্মসূচি পালিত হওয়ায় গত বছর রাজ্য সরকার অনেকটা নীরবেই তাদের অস্ট্রেলিয়া ডে কর্মসূচির কাঁটছাঁট করেছে।
অস্ট্রেলিয়া ডে-র তারিখ পরিবর্তনের দাবিতে সমর্থন বাড়লেও কোনো কোনো অস্ট্রেলিয়ান অবশ্য এখনও এর সঙ্গে একমত নন।
এ বছর নিউ সাউথ ওয়েলসে অস্ট্রেলিয়া ডে পালিত হবে ২৬ জানুয়ারি, সিডনিতে। এর থিম বা মূল ভাব হলো ‘রিফ্লেক্ট, রেসপেক্ট এবং সেলিব্রেট’।
গর্বিত ওয়ারাজারি নারী ইভন ওয়েলডন সিটি অব সিডনির একজন ইনডিপেন্ডেন্ট কাউন্সিলর। মেট্রোপলিটন লোকাল অ্যাবোরিজিনাল ল্যান্ড কাউন্সিলের একজন প্রতিনিধি এবং নিউ সাউথ ওয়েলস অস্ট্রেলিয়া ডে কাউন্সিলের ডেপুটি চেয়ার এই নারী বলেন, এই পরিবর্তনের মানে হলো, জনগণ কী চায় সেটা কাউন্সিলগুলো শুনছে।
তিনি আরও বলেন, ২৬ জানুয়ারির কর্মসূচি নিয়ে জনগণ যেটাই নির্ধারণ করুক না কেন, এটা নিয়ে অকপটভাবে আলাপ-আলোচনা করাটা জরুরি।
এসবিএস রেডিও সম্প্রচার-সূচী হালনাগাদ করেছে, এখন থেকে প্রতি সোম ও বৃহস্পতিবার, বিকাল ৩টায়, এসবিএস পপদেশীতে আমাদের অনুষ্ঠান শুনুন, লাইভ।
কিংবা, পুরনো সময়সূচীতেও আপনি আমাদের অনুষ্ঠান শোনা চালিয়ে যেতে পারেন। প্রতি সোম ও শনিবার, সন্ধ্যা ৬টায়, এসবিএস-২ এ।

ā§Ģ āĻ
āĻā§āĻā§āĻŦāϰ āĻĨā§āĻā§ āύāϤā§āύ āĻā§āϝāĻžāύā§āϞ⧠āĻ āύāϤā§āύ āϏāĻŽāϝāĻŧā§ āϝāĻžāĻā§āĻā§ SBS Bangla Credit: SBS