অনেক ছোট ও বড় অস্ট্রেলিয়ান কোম্পানীই কর্মীদের কাজ ও জীবনযাত্রার ভারসাম্য উন্নত করার আশায় এই পরিবর্তনের সূচনা করছে।
ওয়েন উইন্ডসর মেলবোর্নে একটি ওয়েবসাইট ডেভেলপমেন্ট কোম্পানী পরিচালনা করছেন।
ছয় মাস আগে তিনি এবং তাঁর সংস্থার কর্মীরা সপ্তাহে পাঁচ দিনের পরিবর্তে চার দিন কাজ করা শুরু করেন।
ওয়েন উইন্ডসর বলেন, সপ্তাহে চার দিন কাজ করলে কর্মীরা আরও স্বতস্ফূর্তভাবে কর্মক্ষেত্রে আসে।
এই পদ্ধতিতে কর্মীরা ৮০ শতাংশ সময় কাজ করে ১০০ শতাংশ উৎপাদনশীলতা বজায় রাখবে বলে আশা করা হচ্ছে। এবং তাদের বেতনে কোনো পরিবর্তন আনা হচ্ছে না।
এবং একই মজুরি থাকার কারণে আরও বেশি সংখ্যক কর্মীর কাছে এখন চার দিনের কর্ম-সপ্তাহ গ্রহণযোগ্যতা পাচ্ছে।
সিমবায়োট-এর মত ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলো ইতিমধ্যেই সপ্তাহে চার কর্মদিবসের মডেল গ্রহণ করেছে। আর টেলস্ট্রা, মেডিব্যাংক এবং ইউনিলিভারের মতো বড় সংস্থাগুলিও এরকম সংক্ষিপ্ত কর্ম-সপ্তাহের সম্ভাব্যতা খতিয়ে দেখছে।
ইউনিলিভারের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ক্যামেরন হিথ বলেছেন, কোভিড-১৯ মহামারী এই পরিবর্তনের পেছনে ভূমিকা রেখেছে।
ইউনিলিভার গত নভেম্বর মাস থেকে অস্ট্রেলিয়ায় ৫০০ কর্মী নিয়ে একটি পরীক্ষা চালাচ্ছে।
নিউজিল্যান্ডে এরকম একটি পাইলট প্রকল্পের পরে কর্মীদের কাজে সিক-ডে নেয়ার সংখ্যা ৩৪ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে।
এবং সর্বোচ্চ ৩৩ শতাংশ চাপ কমার সাথে সাথে কর্মীদের ব্যক্তিগত সুস্থতারও অনেক উন্নতি হয়েছে।
আর কাজ ও জীবনযাত্রার ভারসাম্যহীনতা কমেছে ৬৭ শতাংশ।
নিয়োগকর্তারা তাঁদের কর্মীদের ব্যক্তিগত প্রয়োজনের ব্যাপারে আরও বেশি উদার হওয়ার সাথে সাথেই এই সাফল্যগুলো এসেছে।
কাজের এই নতুন ধরনটি দীর্ঘস্থায়ী হবে বলেই আশা করা যাচ্ছে।
এসবিএস বাংলার অনুষ্ঠান শুনুন রেডিওতে, এসবিএস বাংলা রেডিও অ্যাপ-এ এবং আমাদের ওয়েবসাইটে, প্রতি সোম ও শনিবার সন্ধ্যা ৬ টা থেকে ৭ টা পর্যন্ত। রেডিও অনুষ্ঠান পরেও শুনতে পারবেন, ভিজিট করুন: এসবিএস বাংলা।