কোভিড-১৯ এর বিরুদ্ধে লড়াইয়ে সোশাল ডিস্টেন্সিং বা জন-দূরত্ব বজায় রাখাটা অস্ট্রেলিয়ার সবচেয়ে বড় অস্ত্র।
এই অস্ত্র ভাণ্ডারে নতুন একটি অস্ত্র, কন্টাক্ট-ট্রেসিং অ্যাপ, যুক্ত করতে যাচ্ছে ফেডারাল সরকার।
সাইবার সেফটি মিনিস্টার পল ফ্লেচার বলেন,এটি একটি পরীক্ষিত এপ্লিকেশন।
স্মার্ট ফোনের এই এপ্লিকেশনটি এখনও ডেভেলপ করা হচ্ছে। আর, ন্যাশনাল কেবিনেটও এখন পর্যন্ত এর ব্যবহারের অনুমতি দেয় নি।
গত মার্চ থেকে একই ধরনের সফটওয়ার ব্যবহার করছে সিংগাপুর। সরকার তাদের সঙ্গে লিঁয়াজো রক্ষা করে চলছে।
এই ট্রেসিং অ্যাপ ইনস্টল করা ফোন থেকে প্রতিনিয়ত তথাকথিত “ব্লুটুথ বিকন সিগনালস” এর আদান-প্রদান ঘটে।
কারও ফোন যদি অন্য কোনো ফোনের নিকটবর্তী হয় তখন এসব সিগনালের মাধ্যমে সেটি বোঝা যায়। এই অ্যাপটির মাধ্যমে এসব তথ্য সংরক্ষণ করা যাবে।
এই অ্যাপ ব্যবহারকারীদের কেউ যদি কোভিড-১৯ এ আক্রান্ত হন এবং এ তথ্য যদি অ্যাপে উল্লেখ করা হয়, তাহলে কন্টাক্ট ট্রেসার সেই তথ্য ব্যবহার করে অন্য লোকদেরকে সতর্ক করতে পারবে; যারা তার সঙ্গে অন্তত ১৫ মিনিটের জন্য কন্টাক্ট করেছেন এবং সংক্রমণের ঝুঁকিতে রয়েছেন।
ডেপুটি চিফ মেডিকেল অফিসার ডাক্তার নিক কোটসওয়ার্থ বলেন, অস্ট্রেলিয়ায় করোনাভাইরাসের সংক্রমণ হ্রাসের ক্ষেত্রে এই সফটওয়ারটি বড় ভূমিকা রাখতে পারবে।
কিন্তু, সিংগাপুরে করোনাভাইরাসের ব্যাপক সংক্রমণ দেখা গেলেও, প্রতি ৬ জনে মাত্র ১ জন এই কন্টাক্ট-ট্রেসিং অ্যাপটি ডাউনলোড করেছেন।
অস্ট্রেলিয়ার জনগণের এর চেয়ে বেশি হারে এই অ্যাপটি ডাউনলোড করতে হবে এবং কর্তৃপক্ষকে তথ্য সংগ্রহ করার সুযোগ দিতে হবে। তাহলেই এটির সুফল পাওয়া যাবে।
করোনাভাইরাস নিয়ন্ত্রণের জন্য সরকারের নজরদারি কতো দূর পর্যন্ত মেনে নেওয়া যাবে?
ইন্টারন্যাশনাল স্ট্রাটেজিক পলিসি ইনস্টিটিউট-এর সাইবার পলিসির ডাইরেক্টর ফার্গুস হ্যানসন বলেন, অস্ট্রেলিয়ার এই অ্যাপটিতে ডাটা কীভাবে ব্যবহার করা হবে, তা নিয়ে বহু প্রশ্ন উত্থাপিত হচ্ছে।
প্রাইভেসি অ্যাডভোকেটরা এক্ষেত্রে পরিষ্কার সীমারেখা নির্ধারণ করা দরকার বলে মনে করেন। ডিজিটাল রাইটস ওয়াচের চেয়ার লিজি ও’শেই বলেন,
প্রাইভেসি ইস্যু নিয়ে এটর্নি জেনারেলও উদ্বিগ্ন। মন্ত্রী ফ্লেচার বলেন, সরকার শুধুমাত্র তখনই অগ্রসর হবে যখন জনগণ এটি সমর্থন করবে।
আপনার ভাষায় করোনাভাইরাসের আপডেট পেতে sbs.com.au/coronavirus ভিজিট করুন।