চাইলে ২০০০ সালেই বাংলাদেশের রাজনীতিতে আসতে পারতেন, বলেন জনপ্রিয় অভিনেতা মাহফুজ আহমেদ। তার জ্যাঠা-শ্বশুর অর্থাৎ, শ্বশুরের বড় ভাই, সাবেক রাষ্ট্রপতি হোসেইন মোহাম্মদ এরশাদ তখনই তাকে রাজনীতিতে যোগদানের জন্য প্রস্তাব দিয়েছিলেন।
মাহফুজ বলেন, “কিন্তু, রাজনীতি আমাকে কখনও টানে না। ছোটবেলায়ও টানতো না, এখন মোটেও টানে না আরও বড় হওয়ার পর।”
“আমার কেন যেন আকর্ষণই নেই রাজনীতির প্রতি। আমি রাজনীতি করবো, দলীয় রাজনীতি করবো, এমপি হবো, মন্ত্রী হবো – এ বিষয়টা আমাকে একদমই টানে না।”
রাজনীতিতে আসার সম্ভাবনা নাকচ করে দিয়ে তিনি বলেন,
“কাজেই সম্ভাবনা আগেও ছিল না, ভবিষ্যত যতোই ঘনিয়ে আসছে ততোই এটার সম্ভাবনা কমছেই। আমি কোনো সম্ভাবনা দেখছি না।”
বাংলাদেশের সাংস্কৃতিক জগতের নানা রকম সমস্যা দূর করার জন্য এবং সার্বিক উন্নয়নের জন্য রাজনীতিতে আসাটা জরুরি কিনা, সে-সম্পর্কে তিনি বলেন,
“প্রথমে বলি, আমি একজন কর্মী। আমি একজন সাংস্কৃতিক কর্মী, একজন অভিনেতা। আমার কাজ অভিনয় করা। আমার কাজ কিন্তু নেতৃত্ব দেওয়া নয়।”
“নেতৃত্ব দেবে সরকার কিংবা রাজনীতির সঙ্গে সংশ্লিষ্ট যারা আছেন, যারা নীতি-নির্ধারণ করেন কিংবা সংগঠন করেন (তারা)।”
“আমি কোনো সংগঠনের সঙ্গেও জড়িত না। কিংবা সংগঠনের নেতৃত্বের সঙ্গে জড়িত না। আমার কাজটা আমি সীমিত রেখেছি অভিনয়ের মধ্যে। কখনও কখনও পরিচালনায়, প্রযোজনায় – এর মধ্যেই রেখেছি। এর বাইরে আমি আমার কর্মক্ষেত্রটাকে রাখি নি।”
শুধুমাত্র নিজের কাজটুকু নিয়েই ডুবে থাকতে চান মাহফুজ আহমেদ। তিনি বলেন,
“নেতৃত্ব না দিয়েও, নেতৃত্বে না থেকেও, সংগঠনে না থেকেও একটা মানুষ তার ভূমিকা রাখতে পারে। এবং সেই কাজটা আমি করছি নিরবে, নিভৃতে। আমার যখন যেখানে যে কাজের সুযোগ হয়, আমি সে দায়িত্বটা পালন করি।”
মাহফুজ আহমেদের সাক্ষাৎকারের দ্বিতীয় ও শেষ পর্বটি শোনার জন্য উপরের অডিও-প্লেয়ারটিতে ক্লিক করুন।
আর, প্রথম পর্বের জন্য ক্লিক করুন নিচের লিঙ্কে:
এসবিএস বাংলার অনুষ্ঠান শুনুন রেডিওতে, এসবিএস বাংলা অডিও অ্যাপ-এ এবং আমাদের ওয়েবসাইটে, প্রতি সোম ও শনিবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে ৭টা পর্যন্ত।












