প্রায় নয় বছর অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী ছিলেন লেবার দলের প্রতাপশালী নেতা বব হক। তার কথাবার্তা অনেক সময় সোজা-সাপ্টা হলেও মানুষ তার সরল অন্তঃকরণের প্রশংসা করতো।
তিনি প্রবল জনপ্রিয় ছিলেন। তার চারিত্রিক বৈশিষ্ট্যের জন্য অস্ট্রেলিয়ানরা তাকে মিস্টার ৭৫ পার্সেন্ট ডাকতো।
তিনিই একমাত্র প্রধানমন্ত্রী যিনি সাউথ অস্ট্রেলিয়ায় জন্মগ্রহণ করেছেন। অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে তিনি সবচেয়ে কম সময়ে বিয়ার পান করে রেকর্ড করেছিলেন, ছিলেন রোডস স্কলার।
১৯৬৯ সালে তিনি অস্ট্রেলিয়ান কাউন্সিল অফ ট্রেড ইউনিয়নের প্রেসিডেন্ট হন।
রাজনৈতিক মঞ্চে তার আবির্ভাব অনেকটা রকস্টারদের মতো।
এরপর অস্ট্রেলিয়ার ২৩ তম প্রধানমন্ত্রী হন তিনি। অস্ট্রেলিয়ার উত্তর দিকে অবস্থিত প্রতিবেশি দেশগুলোর সঙ্গে সুসম্পর্কের ওপর জোর দেন বব হক। এছাড়া, এপেক প্রতিষ্ঠিত করেন, কাকাডুর সুরক্ষা নিশ্চিত করেন, তাসমানিয়ার ফ্রাঙ্কলিন ড্যাম বন্ধ করেন এবং অ্যান্টার্কটিকায় মাইনিং বন্ধ করার ক্ষেত্রে নেতৃত্ব দেন।
অস্ট্রেলিয়ার জন্য নতুন জাতীয় সঙ্গীত এবং নতুন সংসদ উন্মোচন করেন বব হক।
বাংলাভাষী রাজনৈতিক বিশ্লেষক আবেদিন টিপু এসবিএস বাংলাকে বলেন,
“বব হক অস্ট্রেলিয়ায় এ শতকের সবচেয়ে জনপ্রিয় রাজনীতিবিদ।”
“প্রধানমন্ত্রী হওয়ার আগেই অস্ট্রেলিয়ার লেবার দলের পার্লামেন্টারি গ্রুপের লিডার হন বব হক। এক্ষেত্রে সম্ভবত তিনিই প্রথম।”
মেডিকেয়ার ও সুপার-অ্যানুয়েশনের প্রবক্তা বব হক সম্পর্কে আবেদিন টিপু আরও বলেন,
“অস্ট্রেলিয়ার ওয়ার্কিং-ক্লাস পিপলের জন্য সবচেয়ে বেশি কাজ করেছেন বব হক।”
ম্যালকম ফ্রেজারের সঙ্গে তার রাজনৈতিক বিরোধ থাকলেও উভয়ের মধ্যকার সম্পর্ক ভাল ছিল, বলেন টিপু।
“বব হক কখনও কাউকে ব্যক্তিগতভাবে আক্রমণ করতেন না।”
আবেদিন টিপুর সাক্ষাৎকারটি বাংলায় শুনতে উপরের অডিও প্লেয়ারটিতে ক্লিক করুন।

Abedin Tipu Source: Supplied





