অস্ট্রেলিয়া সরকারের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, বেকারত্বের হার কমেছে, কর্মসংস্থান বেড়েছে। ট্রেজারার জিম চ্যালমার্স গত বছরের ৫ ডিসেম্বর বলেছিলেন, রেকর্ড সংখ্যক লোকের কর্মসংস্থান হয়েছে।
ট্রেজারি তথ্যে দেখা যায়, বিগত ৫০ বছরের মধ্যে বেকারত্বের হার এখন সবচেয়ে কম, ৩.৬ শতাংশ। আর, ২০০৮ সালের পর থেকে দীর্ঘমেয়াদী বেকারত্বের হার এখন সর্বনিম্ন। অর্থাৎ, এতে বলা হয়েছে, যেসব লোক এক বছর বা আরও বেশি সময় ধরে কর্মহীন রয়েছে, তাদের কথা।
অ্যাংলিকেয়ারের সর্বশেষ জবস অ্যাভেইলিবিলিটি স্ন্যাপশট প্রকাশিত হয়েছে গত ৭ ডিসেম্বর। এতে অবশ্য পরিস্থিতির জটিল রূপই উঠে এসেছে।
অ্যাংলিকেয়ার এর সিইও ক্যাসি চ্যাম্বার্স বলেন, এই লোকগুলো তারাই, যারা দীর্ঘদিন ধরে কর্মজগতে প্রবেশ করতে পারছে না।
তাদের সর্বশেষ বার্ষিক রিপোর্টে দেখা গেছে, প্রায় ৫৬০,০০০ লোক বিগত চার বছর ধরে কাজ খুঁজছে। আর, যেসব লোকের কোনো ধরনের প্রতিবন্ধকতা রয়েছে, কর্মজগতে প্রবেশের ক্ষেত্রে তাদের পরিস্থিতি আরও কঠিন হয়ে যাচ্ছে।
এদের কেউ কেউ প্রতিবন্ধী, কেউ কেউ হাইস্কুল পাশ করে নি, কেউ কেউ বৃদ্ধ এবং কেউ কেউ অভিবাসী, যাদের অস্ট্রেলিয়ায় কাজের অভিজ্ঞতা নেই।
প্রতিটি এন্ট্রি লেভেলের জবের জন্য ২৬ জন করে কর্ম-প্রত্যাশী রয়েছে। মিজ চেম্বার্স বলেন, এন্ট্রি লেভেলের কাজ না পাওয়া বাকি ২৫ জনের কর্মসংস্থানের জন্য পর্যাপ্ত পদক্ষেপ গ্রহণ করা হচ্ছে না।
তিনি আরও বলেন, বেকারত্বের হার নিরূপণের বিষয়টি গুরুত্বপূর্ণ।
দীর্ঘ দিন ধরে কর্মহীন থাকলে মানুষ দারিদ্র্য কবলিত হয়। সেন্টারলিঙ্ক থেকে যে আর্থিক সহায়তা প্রদান করা হয় সেটি যথেষ্ট নয় বলে মনে করেন মিজ চেম্বার্স।
আরেকটি বিষয় হলো, আপনি যত বেশি দিন ধরে কাজের বাইরে থাকবেন, নতুন করে কাজ পাওয়ার সম্ভাব্যতা তত কমে যাবে।
আর, এর কুফল শুধু আর্থিক ক্ষেত্রেই পড়ে না।
অস্ট্রেলিয়ায় নবাগত অভিবাসীদেরকে বসবাসের ক্ষেত্রে, ইংরেজি শিক্ষার ক্ষেত্রে এবং কর্মসংস্থানের জন্য সহায়তা করে AMES (এইমস) অস্ট্রেলিয়া নামে একটি প্রতিষ্ঠান। এর সিইও ক্যাথেরিন স্কার্থ বলেন, অভিবাসীরা প্রায়শই ভাষাগত সমস্যায় পড়েন। এছাড়া, তাদের পূর্ববর্তী অভিজ্ঞতা ও দক্ষতার স্বীকৃতি পাওয়ার ক্ষেত্রেও প্রতিবন্ধকতার সম্মুখীন হয়ে থাকেন।
নবাগতদেরকে রিজিউমে রাইটিংসহ বিভিন্নভাবে সহায়তা করে থাকে AMES (এইমস) অস্ট্রেলিয়া। এছাড়া, নিয়োগদাতাদের সঙ্গে কর্মপ্রত্যাশীদের সংযোগ ঘটানোর জন্য তারা মেন্টর প্রোগ্রাম এবং এক্সপোর আয়োজন করে থাকে।
মিজ স্কার্থ বলেন, নিয়োগদানের প্রক্রিয়াটি কীভাবে আরও সহজ করা যায় সেটা নিয়ে নিয়োগদাতাদের অনুধাবন করা দরকার।
তিনি আরও চান, ভোকেশনাল এডুকেশন এবং ট্রেইনিং এবং ওয়ার্ক প্লেসমেন্টের মাধ্যমে দক্ষতার উন্নয়ন ঘটানো হোক।
AMES (এইমস) অস্ট্রেলিয়ার মতো কমিউনিটি প্রোগ্রামগুলো কর্মপ্রত্যাশীদেরকে সহায়তা করছে। অ্যাংলিকেয়ার-এর সিইও ক্যাসি চেম্বার্স বলেন, সরকারের উচিত ট্যাক্স সিস্টেমে পরিবর্তন আনার মাধ্যমে তাদেরকে আরও বেশি সহায়তা প্রদান করা।
READ MORE

এসবিএস বাংলা ফেসবুক নীতিমালা
এসবিএস রেডিও সম্প্রচার-সূচী হালনাগাদ করেছে, এখন থেকে প্রতি সোম ও বৃহস্পতিবার, বিকাল ৩টায়, এসবিএস পপদেশীতে আমাদের অনুষ্ঠান শুনুন, লাইভ।
কিংবা, পুরনো সময়সূচীতেও আপনি আমাদের অনুষ্ঠান শোনা চালিয়ে যেতে পারেন। প্রতি সোম ও শনিবার, সন্ধ্যা ৬টায়, এসবিএস-২ এ।

৫ অক্টোবর থেকে নতুন চ্যানেলে ও নতুন সময়ে যাচ্ছে SBS Bangla Source: SBS