নতুন একটি অনলাইন ট্রেন্ড হলো সানবার্ন চ্যালেঞ্জ। হেলথ অ্যাডভোকেট বা স্বাস্থ্য বিষয়ক অধিকার-কর্মীরা এ নিয়ে উদ্বিগ্ন।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম টিকটক-এ মানুষ তাদের ভিডিও আপলোড করে থাকে। এতে তারা তাদের সানবার্ন জাহির করে। আর, এ প্রবণতা কমবয়সী অস্ট্রেলীয়দের মাঝে জনপ্রিয় হচ্ছে।
মেলানোমা ইনস্টিটিউট অস্ট্রেলিয়ার সিইও ম্যাথিউ ব্রাউন বলেন, এ ধরনের ভিডিওগুলোর ভয়ানক কুপ্রভাব পড়তে পারে।
টিকটক বলছে, তারাও উদ্বিগ্ন। “Tanning! That’s Cooked” নামের একটি প্রচারণা অভিযানে তারা মেলানোমা ইনস্টিটিউটের সঙ্গে পার্টনারশিপে কাজ করছে। অস্ট্রেলিয়ার ট্যানিং কালচার নিয়ে তারা দেশটির কম-বয়সী ছেলে-মেয়েদেরকে টার্গেট করে এই ক্যাম্পেইন চালাচ্ছে।
টিকটক অস্ট্রেলিয়ার জেনারেল ম্যানেজার লি হান্টার বলেন, সান সেইফটি-কে উৎসাহিত করতে তাদের এই প্লাটফর্মটিকে হাস্যরসাত্মক আধেয় দিয়ে ভরে ফেলা হবে। আর, যে-সব ভিডিওতে বাজে অভ্যাসকে উৎসাহিত করা হবে, সেগুলো সরিয়ে ফেলা হবে।
READ MORE

এসবিএস বাংলা ফেসবুক নীতিমালা
বিশ্বে সবচেয়ে বেশি হারে মেলানোমা দেখা যায় অস্ট্রেলিয়ায়।
প্রতি আধা ঘণ্টায় এদেশে একজনের করে মেলানোমা ধরা পড়ে। প্রতি বছরে এই সংখ্যা ১৭,০০০।
বছরে ১৩০০ অস্ট্রেলিয়ান মারা যান এই রোগে। এর মানে হলো প্রতি ছয় ঘণ্টায় এক জনের মৃত্যু। আর, ২০ থেকে ২৯ বছর বয়সী অস্ট্রেলিয়ানদের জন্য সবচেয়ে কমন ক্যান্সার হলো মেলানোমা।
প্রায় এক দশক ধরে স্কিন ক্যান্সারের বিরুদ্ধে লড়াই করছেন জেন বেনফিল্ড। তার পিঠ থেকে ভয়ানক মেলানোমা অপসারণ করা হয় ২০১৪ সালে।
এর চার বছর পরে, দু’সন্তানের মা জেন বলেন, রুটিন স্ক্যান করে তার ফুসফুসে একটি স্পট পাওয়া যায়। এটি পরবর্তীতে তার কিডনিতে ছড়িয়ে পড়ে।
“That’s Cooked” ক্যাম্পেইনটিকে স্বাগত জানান জেন। তিনি বলেন, কমবয়সী অস্ট্রেলিয়ানদের জন্য এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ মিশন, সান সেইফটির প্রতি তাদের মনোভাব পরিবর্তন করার জন্য।
আর, ম্যাথিউ ব্রাউন আশা করেন, এই ক্যাম্পেইনের অনেক সুফল পাওয়া যাবে।
READ MORE

নতুন এসবিএস রেডিও অ্যাপ ডাউনলোড করুন
প্রতিবেদনটি শুনতে উপরের অডিও-প্লেয়ারটিতে ক্লিক করুন।
এসবিএস বাংলার অনুষ্ঠান শুনুন রেডিওতে, এসবিএস বাংলা রেডিও অ্যাপ-এ এবং আমাদের ওয়েবসাইটে, প্রতি সোম ও শনিবার সন্ধ্যা ৬ টা থেকে ৭ টা পর্যন্ত। রেডিও অনুষ্ঠান পরেও শুনতে পারবেন, ভিজিট করুন: এসবিএস বাংলা












