SBS Examines-এর এই পর্বে আলোচনা করা হয়েছে, সংস্কৃতি ও ভাষাগত বৈচিত্র্যময় (CALD) সম্প্রদায়ের নারীদের মধ্যে ক্যানসার স্ক্রিনিং নিয়ে যে কলঙ্ক বা লজ্জাবোধ রয়েছে, তা দূর করতে কী করা প্রয়োজন।
সতর্কতা: এই পডকাস্টে কিছু বেদনাদায়ক ঘটনার বিবরণ রয়েছে।
নেহা কুমারের মা রেণু ২০১৪ সালে স্তন ক্যানসারের তৃতীয় ধাপ (স্টেজ ৩) ধরা পড়েন।
তিনি বলেন, তার মা উপসর্গগুলিকে অগ্রাহ্য করেছিলেন এবং অনেক দেরি করে ফেলেছিলেন।
চিকিৎসা নেওয়ার এক বছর পর, ২০১৫ সালে, রেণু মারা যান।
দক্ষিণ এশীয় সমাজব্যবস্থায়, আমরা কখনোই আমাদের শরীর-স্বাস্থ্য নিয়ে কথা বলি না—বিশেষ করে আমাদের শরীরের প্রাইভেট পার্টের সমস্যা নিয়ে।
রেণু ১৯৯১ সালে ভারত থেকে নিউজিল্যান্ডে আসেন, এবং ইংরেজি বলতে পারতেন না।
এখন ৩৮ বছর বয়সী নেহা বলেন, তার মা কখনও নিজের উপসর্গের কথা বলেননি।
তিনি বলেন, অস্ট্রেলিয়ায় নানা সংস্কৃতির নারীরা স্বাস্থ্য সংক্রান্ত বিষয়গুলো নিয়ে লজ্জা, ভয় এবং শিক্ষার অভাবের কারণে সমস্যায় পড়েন।
শান্তা বিশ্বনাথন, পিংক শাড়ি ইনকর্পোরেটেড নামের স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার প্রেসিডেন্ট, যা ক্যানসারে আক্রান্ত দক্ষিণ এশীয়দের সহায়তা করে।
মিসেস বিশ্বনাথন বলেন, অনেকেই তাদের অগ্রাধিকার তালিকায় স্বাস্থ্যকে বিবেচনা করে না, তালিকার সর্বশেষ বিষয় বলে ভাবে।
ভারত থেকে আসা নিশি পুরি বলেন, নব্বই দশকে অস্ট্রেলিয়ায় আসার পরই প্রথমবার সার্ভিকাল স্ক্রিনিং সম্পর্কে শুনেছেন।
তিনি বলেন, যখন প্রক্রিয়াটি জানলেন তখন ভীষণ অস্বস্তিকর মনে হয়েছিল।
তাই তিনি অনেক বছর ধরে পরীক্ষা করাননি, যদিও তার পারিবারিক চিকিৎসক তাকে উৎসাহ দিয়েছিলেন।
নিশি অস্ট্রেলিয়ান সরকারের 'ওউন ইট' (Own It) প্রচারাভিযানে অংশ নিয়েছেন, যেটি স্ব-সংগ্রহ পদ্ধতির মাধ্যমে সার্ভিকাল স্ক্রিনিং সম্পর্কে সচেতনতা তৈরি করে।
ড. মারিয়াম চালান, ওয়েস্টার্ন সিডনির এক জিপি (সাধারণ চিকিৎসক)
তিনি বলেন, অনেক নারী এখনো স্বাস্থ্য নিয়ে ভীত ও লজ্জিত।
তিনি বলেন, ভুল ধারণাও নারীদের রোগ প্রতিরোধমূলক স্বাস্থ্যসেবা গ্রহণ থেকে বিরত রাখে।
এটা শুধু আরেকটি মেডিকেল টেস্ট নয়, এটা ক্যানসার প্রতিরোধের একটি সুযোগ। আর এই সুযোগটা সবাই পাওয়ার অধিকার রাখে—তারা যেখান থেকেই আসুক না কেন।
ড. চালান বলেন, যদিও তিনি নারীদের মধ্যে বেশি এই ভয় দেখেন, তবে কিছু পুরুষও একই সমস্যায় ভোগেন।
তিনি বলেন, দৃশ্যমান সচেতনতা ও উপযুক্ত শিক্ষামূলক উপকরণ খুবই জরুরি।
সম্পূর্ণ প্রতিবেদনটি শুনতে উপরের অডিও প্লেয়ারে ক্লিক করুন।
আরও জানতে ভিজিট করুন: sbs.com.au/sbsexamines
এসবিএস বাংলা এখন অস্ট্রেলিয়ায় বসবাসরত দক্ষিণ এশীয় সকল জনগোষ্ঠীর জন্য এসবিএস সাউথ এশিয়ান চ্যানেলের অংশ।
এসবিএস বাংলা লাইভ শুনুন প্রতি সোম ও বৃহস্পতিবার বিকাল ৩টায় এসবিএস সাউথ এশিয়ান-এ, ডিজিটাল রেডিওতে, কিংবা, আপনার টেলিভিশনের ৩০৫ নম্বর চ্যানেলে। এছাড়া, এসবিএস অডিও অ্যাপ-এ কিংবা আমাদের ওয়েবসাইটে। ভিজিট করুন www.sbs.com.au/bangla
আর, এসবিএস বাংলার পডকাস্ট এবং ভিডিওগুলো ইউটিউবেও পাবেন। ইউটিউবে সাবসক্রাইব করুন এসবিএস সাউথ এশিয়ান চ্যানেল। উপভোগ করুন দক্ষিণ এশীয় ১০টি ভাষায় নানা অনুষ্ঠান। আরও রয়েছে ইংরেজি ভাষায় এসবিএস স্পাইস
আরও দেখুন

পুরুষদের মানসিক স্বাস্থ্য এবং কল্যাণ