এসবিএস এক্সামিনস অস্ট্রেলিয়ার সামাজিক সংহতি নিয়ে কাজ করে এমন কিছু সংস্থার সঙ্গে কথা বলেছে।
ঘৃণার রিপোর্টকৃত ঘটনার সংখ্যা স্পষ্টভাবে বেড়েছে, যার মধ্যে মৌখিক ও শারীরিক নির্যাতন এবং নিগ্রহও অন্তর্ভুক্ত।
মেলবোর্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের মনোবিজ্ঞানী অধ্যাপক নিক হ্যাসলাম এসবিএস এক্সামিনসকে বলেন, "একটি মজার বিষয় হলো, মানুষ কোন ঘটনাকে ঘৃণামূলক হিসেবে সংজ্ঞায়িত করবে, তা নিয়ে তাদের মধ্যে অনেক পার্থক্য রয়েছে।"
তিনি আরও বলেন, "উদাহরণস্বরূপ, কিছু মানুষ কোন জাতিগোষ্ঠীকে লক্ষ্য করে গালি দেয়ার ঘটনাকে স্বতঃসিদ্ধভাবে ঘৃণাপূর্ণ ও সহিংস হিসেবে দেখে, আবার অন্যরা তেমন ভাবে না। তাই কোন ধরনের বক্তব্য ঘৃণাপূর্ণ আর কোনটা নয়—এ নিয়ে প্রচুর মতবিরোধ রয়েছে।"
ঘৃণাসূচক বক্তব্য সম্পর্কে সচেতনতা ও বোঝাপড়া বেড়ে যাওয়াই হতে পারে একটি কারণ, যার জন্য আমরা আরও বেশি রিপোর্ট দেখতে পাচ্ছি।
কিন্তু আরেকটি কারণ আছে, যা বড় ধরনের প্রভাব ফেলছে।
অনলাইনে নিগ্রহ দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে, এবং বিশেষজ্ঞরা বলছেন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম কোম্পানিগুলোকে তাদের প্ল্যাটফর্মে ইচ্ছাকৃতভাবে ঘৃণা ছড়ানো বন্ধ করতে আরও কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে।
অ্যাসোসিয়েট প্রফেসর মাত্তেও ভারগানি, সমাজবিজ্ঞানী এবং ট্যাকলিং হেইট ল্যাব (Tackling Hate Lab)-এর পরিচালক, তিনি বলেন অনলাইন ঘৃণা বাস্তব দুনিয়াতেও প্রভাব ফেলছে।
এটি নিয়ম-কানুন বা মানদণ্ড বদলে দিচ্ছে। আমার মনে হয় আমরা এক ধরনের সাংস্কৃতিক পরিবর্তনের সাক্ষী হচ্ছি, কারণ সমাজ ভেঙে যাচ্ছে।
তিনি বলেন, “মানুষ ক্রমশ নিজেদের আরও বেশি করে, বিশেষত অনলাইনে, এমন সব গোষ্ঠীর সামনে উন্মুক্ত করছে যারা ঘৃণাকে স্বাভাবিক করে তোলে এবং মতামতকে মেরুকৃত করে।”
আন্ডারস্ট্যান্ডিং হেইট-এর এই পর্বে অস্ট্রেলিয়ায় বাড়ন্ত ঘৃণার মাত্রা নিয়ে রিপোর্টের কিছু বিষয়ের দিকে নজর দেওয়া হয়েছে।
সম্পূর্ণ প্রতিবেদনটি শুনতে উপরের অডিও প্লেয়ারে ক্লিক করুন।
এসবিএস বাংলা এখন অস্ট্রেলিয়ায় বসবাসরত দক্ষিণ এশীয় সকল জনগোষ্ঠীর জন্য এসবিএস সাউথ এশিয়ান চ্যানেলের অংশ।
এসবিএস বাংলা লাইভ শুনুন প্রতি সোম ও বৃহস্পতিবার বিকাল ৩টায় এসবিএস সাউথ এশিয়ান-এ, ডিজিটাল রেডিওতে, কিংবা, আপনার টেলিভিশনের ৩০৫ নম্বর চ্যানেলে। এছাড়া, এসবিএস অডিও অ্যাপ-এ কিংবা আমাদের ওয়েবসাইটে। ভিজিট করুন www.sbs.com.au/bangla.
আর, এসবিএস বাংলার পডকাস্ট এবং ভিডিওগুলো ইউটিউবেও পাবেন। ইউটিউবে সাবসক্রাইব করুন এসবিএস সাউথ এশিয়ান চ্যানেল। উপভোগ করুন দক্ষিণ এশীয় ১০টি ভাষায় নানা অনুষ্ঠান। আরও রয়েছে ইংরেজি ভাষায় এসবিএস স্পাইস।