এই রায় নিয়ে এসবিএস বাংলাকে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন অস্ট্রেলিয়ায় বসবাসরত বাংলাদেশিরা।
ড. শামারুহ মির্জা একজন মানবাধিকার কর্মী এবং তিনি ডায়াস্পোরা এলায়েন্স ফর ডেমোক্রেসি নামক একটি সংগঠনের সাথে যুক্ত, যেটি বাংলাদেশে ২০২৪-এর জুলাই আন্দোলনের পক্ষে বিশেষ ভূমিকা রেখেছিলো।
এই আন্দোলন মোকাবেলা করার প্রক্রিয়াটি ছিল প্রাণঘাতী। জাতিসংঘ বলেছে, শিক্ষার্থীদের এই আন্দোলনে প্রাণ হারিয়েছেন অন্তত এক হাজার ৪০০ জন।
"এবং এর শক্ত প্রমান আছে" বলেন ড. মির্জা।
"শেখ হাসিনার অপকর্ম এবং তার অপরাধ মানবতা বিরোধী বলে প্রমাণিত হয়েছে.....আমি মনে করি যে (এই রায়ের মাধ্যমে) ভিক্টিমের পরিবার, এবং বাংলাদেশের জাতি ন্যায়বিচার পেয়েছে তবে এখানে শুধুমাত্র একটি মামলার রায় দিয়েছে আরো বেশ কিছু মামলা আছে।"
তিনি বলেন, "আমি যে এভিডেন্স গুলো দেখেছি, আমি যেটুকু মনিটর করেছি সেখানে বেশ কিছু ক্রুশাল এভিডেন্স ছিল যেখানে শেখ হাসিনার নিজের কন্ঠে নির্দেশ ছিল গুলি করার জন্য এবং বেশ কিছু ছিল। ওই এভিডেন্স গুলো আমার মনে হয়েছে খুবই স্ট্রং ছিল।"
তবে এই মামলাকে প্রত্যাখ্যান করছেন শেখ হাসিনার সমর্থকরা।
চিকিৎসক ও শিক্ষক ড. হাসনাত মিল্টন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল সম্পর্কে তার মতামত তুলে ধরেন।
তিনি বলেন, “প্রথমত হলো যে এই আদালতের এখতিয়ারই নাই এই অপরাধের বিচার করার। দ্বিতীয়ত হল যে অভিযোগ শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে আনা হচ্ছে, সেই অভিযোগগুলো কি আসলেই তিনি করেছেন কিনা? আমাদের পক্ষ থেকে খুব স্পষ্টভাবে আমরা বলে দিয়েছি যে এই অপরাধ এই হত্যাকাণ্ডের দায় শেখ হাসিনার না।”
ড. মিল্টন এই বিচারকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে মনে করেন।
তবে এই বিচারকে ঘিরে অস্থিরতা দেখা গেছে, বাংলাদেশের গণমাধ্যম যানবাহনে অগ্নিসংযোগ, ককটেল বিস্ফোরণের মত ঘটনা রিপোর্ট করেছে।
বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা রাষ্ট্রপতি শেখ মুজিবের বাসভবন ভাঙাকে কেন্দ্র করে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সাথে সংঘর্ষে জড়িয়েছে একদল জনতা।
ভারতে নির্বাসনে থাকা শেখ হাসিনার মৃত্যুদণ্ডের রায় নিয়ে একটি বিবৃতি দিয়েছে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। তারা বলেছে, ঘোষিত রায়ের বিষয়ে ভারত অবগত হয়েছে।
তবে তাদের বিবৃতিতে শেখ হাসিনাকে ফেরত পাঠানোর বিষয়টি অনুপস্থিত।
এদিকে মৃত্যুদণ্ডের রায় নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে জাতিসংঘ, হিউম্যান রাইটস ওয়াচসহ কয়েকটি মানবাধিকার সংস্থা।
জাতিসংঘের মানবাধিকার কার্যালয়, এই মৃত্যুদণ্ডের রায়ের বিরোধিতা করেছে, তবে এই রায়কে তারা “গত বছর প্রতিবাদ দমনের সময় সংঘটিত গুরুতর লঙ্ঘনের শিকারদের জন্য এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্ত” বলে উল্লেখ করেছে।
হিউম্যান রাইটস ওয়াচের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত দুইজনের অনুপস্থিতিতেই বিচার কাজ সম্পন্ন হয়েছে এবং তাদের পছন্দের আইনজীবী দেওয়ার সুযোগ ছিল না যেখানে গুরুতর মানবাধিকার উদ্বেগ আছে।
এছাড়া, দুই জনের অনুপস্থিতির বিষয়টি উল্লেখ করে অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল বিচারের গতিকে 'নজীরবিহীন' বলেছে এবং উল্লেখ করেছে যে এতে ন্যায়বিচারের ক্ষেত্রে 'উল্লেখযোগ্য উদ্বেগ' রয়েছে।
সম্পূর্ণ প্রতিবেদনটি শুনতে উপরের অডিও-প্লেয়ারটিতে ক্লিক করুন।
এসবিএস বাংলার আরও পডকাস্ট শুনতে ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট।আপনি কি জানেন, এসবিএস বাংলা অনুষ্ঠান এখন ইউটিউব এবং এসবিএস অন ডিমান্ডে পাওয়া যাচ্ছে?
এসবিএস বাংলা এখন অস্ট্রেলিয়ায় বসবাসরত দক্ষিণ এশীয় সকল জনগোষ্ঠীর জন্য এসবিএস সাউথ এশিয়ান চ্যানেলের অংশ।এসবিএস বাংলা লাইভ শুনুন প্রতি সোম ও বৃহস্পতিবার বিকাল ৩টায় এসবিএস সাউথ এশিয়ান-এ, ডিজিটাল রেডিওতে, কিংবা, আপনার টেলিভিশনের ৩০৫ নম্বর চ্যানেলে।
এছাড়া, এসবিএস অডিও অ্যাপ-এ কিংবা আমাদের ওয়েবসাইটে। ভিজিট করুন www.sbs.com.au/bangla.আর, এসবিএস বাংলার পডকাস্ট এবং ভিডিওগুলো ইউটিউবেও পাবেন।
ইউটিউবে সাবসক্রাইব করুন এসবিএস সাউথ এশিয়ান চ্যানেল। উপভোগ করুন দক্ষিণ এশীয় ১০টি ভাষায় নানা অনুষ্ঠান। আরও রয়েছে ইংরেজি ভাষায় এসবিএস স্পাইস।








