Australia Explained: অনূর্ধ্ব ১৬ বছর বয়সীদের সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার নিয়ন্ত্রণ মানিয়ে নিতে অভিভাবকদের যা করণীয়

Hearing a father's advice

Because social connection is central to teenagers’ wellbeing, parents can help them plan alternative ways to stay in touch. Credit: ridvan_celik/Getty Images

অস্ট্রেলিয়ার অনূর্ধ্ব ১৬ বছর বয়সী শিশুদের জন্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহারে শিগগিরই নিয়ন্ত্রণ আরোপ করা শুরু হতে যাচ্ছে, কিন্তু এটি কীভাবে কার্যকর হবে তা নিয়ে এখনো অনেক অনিশ্চয়তা রয়েছে। বিস্তারিত বিষয়গুলো এখনো পরিবর্তিত হচ্ছে, তবে একটি বিষয় পরিষ্কার: পরিবারগুলোকেই তাদের শিশুদের সামনে যা আসছে তা বুঝতে সহায়তা করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে।


গুরুত্বপূর্ণ তথ্য
  • অস্ট্রেলিয়া ১০ ডিসেম্বর ২০২৫ থেকে ১৬ বছরের কম বয়সী অস্ট্রেলীয়দের জন্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহারে নিয়ন্ত্রণ আরোপ করছে
  • বয়স যাচাই করার দায়িত্ব অভিভাবকদের নয়, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম প্ল্যাটফর্মগুলোর
  • খোলামেলা আলোচনা শিশুদের এ পরিবর্তনের মানসিক প্রভাব সামলাতে সাহায্য করতে পারে
  • অভিভাবকরা বিকল্পভাবে সংযুক্ত থাকার পরিকল্পনা করে এবং অ্যাকাউন্টে সম্ভাব্য পরিবর্তনগুলোর জন্য কিশোর-কিশোরীদের প্রস্তুত করতে সহায়তা করতে পারেন
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞার এই পরিবর্তনগুলি নিয়ে কীভাবে আপনি তরুণদের সঙ্গে কথা বলতে পারেন এবং তাদের বন্ধুদের সঙ্গে সংযুক্ত থাকার বিষয়ে স্বাস্থ্যকর আলোচনায় যুক্ত করতে পারেন?

এই পর্বে আপনি আসন্ন পরিবর্তনগুলি সম্পর্কে জানবেন এবং কীভাবে বিশেষজ্ঞরা পরামর্শ দেন যে আপনি শিশুদের এই পরিবর্তনের জন্য প্রস্তুত করতে পারেন।

অস্ট্রেলিয়া তার অনুর্দ্ধ ১৬ বছর বয়সী শিশুদের জন্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা কার্যকর করবে মঙ্গলবার ১০ ডিসেম্বর।

সামাজিক যোগাযোগ কোম্পানিগুলোকে ১৬ বছরের নিচে বয়সী ব্যক্তিদের অ্যাকাউন্ট রাখা বন্ধ করতে যুক্তিসঙ্গত পদক্ষেপ নিতে হবে।

ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম, কিক, রেডিট, স্ন্যাপচ্যাট, থ্রেডস, টিকটক, এক্স, ইউটিউব এবং টুইচ ইতোমধ্যে অন্তর্ভুক্ত হয়েছে, এবং আরও প্ল্যাটফর্ম যোগ হতে পারে।

অ্যাকাউন্ট বন্ধ রাখার এই দায়িত্ব প্ল্যাটফর্মগুলোর ওপরই বর্তায়।

১৬ বছরের নিচে থাকা কোনো শিশুর অ্যাকাউন্ট ১০ ডিসেম্বরের পরও থাকলে বাবা-মা বা শিশুদের কোনো শাস্তির মুখোমুখি হতে হবে না।

কোম্পানিগুলোর প্রত্যাশা করা হচ্ছে যে তারা ব্যবহারকারীর বয়স অনুমান করতে বয়সের নিশ্চয়তা প্রযুক্তি ব্যবহার করবে, এবং তাদের অবশ্যই সরকারি আইডি স্ক্যানের বাইরে অন্য বিকল্পও দিতে হবে।
তরুণেরা এখনো ইউটিউব ও টিকটক-এর মতো কিছু প্ল্যাটফর্মে লগইন না করেও কনটেন্ট দেখতে পারবে।

ই-সেফটি কমিশনার, যিনি এই নিষেধাজ্ঞার বাস্তবায়ন তদারকি করছেন, বলেছেন যে ১০ ডিসেম্বরের মধ্যেই সব অনুর্দ্ধ ১৬ অ্যাকাউন্ট মুছে যাওয়ার সম্ভাবনা কম, এটি ধীরে ধীরে ঘটবে।
A child using smart phone lying in bed
Companies are expected to use age-assurance technology to estimate a user’s age. Young people will still be able to watch publicly available content on some platforms, such as YouTube and TikTok. Source: iStockphoto / Suzi Media Production/Getty Images
এই পরিবর্তন নিয়ে কীভাবে কিশোর-কিশোরীদের সাথে কথা বলবেন ?

কিন্তু বিশেষজ্ঞরা বলছেন শিশুদের সঙ্গে আগে থেকেই কথা বলা জরুরি।

ড. ক্যাথরিন পেজ জেফরি, সিডনি বিশ্ববিদ্যালয়ের মিডিয়া ও যোগাযোগ বিভাগের সিনিয়র লেকচারার, ব্যাখ্যা করেন।

“সামাজিক যোগাযোগ তরুণদের জন্য সত্যিই গুরুত্বপূর্ণ। এটি তাদের সংযুক্ত থাকার একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ উপায়। বাবা-মায়েদের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রথম পদক্ষেপ হলো বুঝতে চেষ্টা করা যে তরুণদের জীবনে গণমাধ্যম এবং বিশেষ করে সামাজিক যোগাযোগ কতটা গুরুত্বপূর্ণ।”

ড. পেজ জেফরি ডিজিটাল মিডিয়া ও পরিবার নিয়ে গবেষণা করেন।

তিনি বলেন, ডিজিটাল মিডিয়া প্রায়ই অস্ট্রেলিয়ান পরিবারে দ্বন্দ্ব তৈরি করে এবং বাবা-মায়েরা যখন এটি শিশুদের জীবনে কতটা গুরুত্বপূর্ণ তা বুঝতে পারেন না, তখন মতবিরোধ দেখা দেয়।
Mobile phone showing the number 16 and a red forbidden sign trapped between barrier tapes on yellow background. Illustration of the British consideration of banning sale of smartphones to under 16s
The responsibility falls on the platforms themselves. There are no penalties for parents or children if an under-sixteen still has an account after the start date. Source: iStockphoto / Dragon Claws/Getty Images
একাকীত্বের ঝুঁকিতে থাকা কিশোর-কিশোরীদের কীভাবে সহায়তা করা যায় ?

একাকীত্বের ঝুঁকিতে থাকা টিন-এজারদের জন্য উদ্বেগজনক হতে পারে, বিশেষ করে প্রান্তিক সম্প্রদায়ের তরুণদের জন্য, যাদের মধ্যে রয়েছে সাংস্কৃতিক ও ভাষাগতভাবে বৈচিত্র্যময় পটভূমির তরুণ, প্রতিবন্ধী তরুণ, গ্রামীণ বা আঞ্চলিক এলাকার তরুণ, এবং LGBTIQ+ তরুণেরা।

লিও হীড, কিডস হেল্পলাইন (Kids Helpline) -এর সার্ভিস ম্যানেজার, বলেন যে মনে রাখা গুরুত্বপূর্ণ যে অনলাইন কমিউনিটি প্রান্তিক সম্প্রদায়ের তরুণদের জন্য আরও গুরুত্বপূর্ণ হতে পারে, কারণ তারা বাস্তব জগতে একই নিরাপত্তা বা সংযুক্তির অনুভূতি নাও পেতে পারে।

ই-সেফটি তাদের ওয়েবসাইটে বাবা-মা ও শিশুদের জন্য রিসোর্স দেয়—আলোচনা শুরুর উপায় এবং প্রস্তুতি নির্দেশিকা—যা তরুণদের এগুলোর জন্য প্রস্তুত হতে সাহায্য করে।

স্কুল এবং কিডস হেল্পলাইন-এর মতো সহায়তা পরিষেবারাও নিজেদের রিসোর্স দিচ্ছে।
Asian teen and Black teen beauty bloggers having fun while sharing skincare tips during live video at home studio table with various cosmetic items, lighting, and camera setup
Social media companies will be required to take reasonable steps to stop people under 16 from having accounts on their platforms. Source: iStockphoto / Ekkasit Jokthong/Getty Images
মি. হীড বলেন, তরুণদের অনুভূতিকে তুচ্ছ না করা গুরুত্বপূর্ণ।

তিনি বলেন যে বিভিন্ন প্ল্যাটফর্মের ধাপ ভিন্ন হবে, তবে আসন্ন নিষেধাজ্ঞা নিয়ে শিশুদের সঙ্গে কথা বলা তাদের মানিয়ে নিতে সাহায্য করতে পারে। এর মধ্যে থাকতে পারে অ্যাকাউন্ট বন্ধ হওয়ার আগে একসঙ্গে তাদের ছবি, ভিডিও বা অন্যান্য স্মৃতি সংরক্ষণ করা।
কিডস হেল্পলাইন যে কৌশলগুলোর একটি সুপারিশ করে, তার একটি হলো আপনার সন্তানদের একটি “get out of jail free card” দেওয়া।

“অর্থাৎ, আমরা যে বিষয়টি বোঝাতে চাই তা হলো, আপনার সন্তানদের জানানো যে অনলাইনে এমন কিছু ঘটলে যেখানে তাদের সাহায্যের প্রয়োজন হয়, তারা যেন আপনার কাছে এসে আপনাকে বলতে পারে। আপনি যেন সঙ্গে সঙ্গে প্রতিক্রিয়া না দেখিয়ে তাদের কথা শোনেন এবং পুরো পরিস্থিতিতে তাদের পাশে থেকে সাহায্য করেন,” বলেন মি. হীড।
Teenager ignoring his mother while using a tablet in his bedroom
Parents shouldn't be dismissive of their children's feelings. Source: iStockphoto / Antonio_Diaz/Getty Images
মি. হীড বলেন, তরুণেরা প্রায়ই বলে যে তারা সাহায্য চাইতে ভয় পায় কারণ তারা তাদের বাবা-মায়ের ওপর অতিরিক্ত চাপ দিতে চায় না।

কারণ তরুণেরা হয়তো সামাজিক যোগাযোগ প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার চালিয়ে যাওয়ার বা অন্তর্ভুক্ত নয় এমন নতুন সেবা খুঁজে বের করার চেষ্টা করবে, তারা এখনো অনলাইনে ক্ষতির মুখোমুখি হতে পারে। তিনি বলেন, এই কৌশলটি শাস্তির ভয় ছাড়াই খোলামেলা যোগাযোগকে উৎসাহিত করে।
Group of friends hanging out together in skatepark and taking selfie
Once the ban comes into effect, parents should continue talking with their children about online life. Credit: Johner Images/Getty Images/Johner RF
ই-সেফটি তরুণদের জন্য মাই সার্কেল (My Circle) এবং বিয়ন্ড ব্লু ফোরামস (Beyond Blue forums)-এর মতো কিডস হেল্পলাইন-এর পিয়ার টু পিয়ার (peer-to-peer) প্রোগ্রামকে নিরাপদ বিকল্প হিসেবে প্রস্তাব করে, যাতে তারা অনলাইনে সংযুক্ত থাকতে পারে।

ড. পেজ জেফরি বলেন, তরুণদের অনলাইন অভিজ্ঞতা নিয়ে তাদের সঙ্গে কথা চালিয়ে যাওয়া গুরুত্বপূর্ণ।
কিন্তু নিষেধাজ্ঞা কার্যকর হওয়ার পরও অভিভাবকদের অবশ্যই তাদের সন্তানদের সঙ্গে অনলাইন নিরাপত্তা ও অনলাইন ঝুঁকি নিয়ে কথোপকথন চালিয়ে যেতে হবে, কারণ অনেক অনলাইন ঝুঁকি শুধু সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেই সীমাবদ্ধ নয়।
ড. ক্যাথরিন পেজ জেফরি, সিনিয়র লেকচারার, সিডনি বিশ্ববিদ্যালয়ের মিডিয়া ও যোগাযোগ বিভাগ
অস্ট্রেলিয়ায় আপনার নতুন জীবনে স্থায়ী হওয়ার বিষয়ে আরও মূল্যবান তথ্য এবং টিপসের জন্য ‘অস্ট্রেলিয়া সম্পর্কে জানুন’ পডকাস্ট অনুসরণ করুন।

আপনার কোনো প্রশ্ন বা নতুন কোনো বিষয় নিয়ে আমাদের পডকাস্টে শুনতে চাইলে  australiaexplained@sbs.com.au  -এ আমাদের ইমেল করুন।

ফিচারটি শুনতে ক্লিক করুন উপরের অডিও প্লেয়ারে।

এসবিএস বাংলার আরও পডকাস্ট শুনতে ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট।আপনি কি জানেন, এসবিএস বাংলা অনুষ্ঠান এখন ইউটিউব এবং এসবিএস অন ডিমান্ডে পাওয়া যাচ্ছে?

এসবিএস বাংলা এখন অস্ট্রেলিয়ায় বসবাসরত দক্ষিণ এশীয় সকল জনগোষ্ঠীর জন্য এসবিএস সাউথ এশিয়ান চ্যানেলের অংশ।এসবিএস বাংলা লাইভ শুনুন প্রতি সোম ও বৃহস্পতিবার বিকাল ৩টায় এসবিএস সাউথ এশিয়ান-এ, ডিজিটাল রেডিওতে, কিংবা, আপনার টেলিভিশনের ৩০৫ নম্বর চ্যানেলে।

এছাড়া, এসবিএস অডিও অ্যাপ-এ কিংবা আমাদের ওয়েবসাইটে। ভিজিট করুন www.sbs.com.au/bangla.আর, এসবিএস বাংলার পডকাস্ট এবং ভিডিওগুলো ইউটিউবেও পাবেন।

ইউটিউবে সাবসক্রাইব করুন এসবিএস সাউথ এশিয়ান চ্যানেল। উপভোগ করুন দক্ষিণ এশীয় ১০টি ভাষায় নানা অনুষ্ঠান। আরও রয়েছে ইংরেজি ভাষায় এসবিএস স্পাইস


Share
Follow SBS Bangla

Download our apps
SBS Audio
SBS On Demand

Listen to our podcasts
Independent news and stories connecting you to life in Australia and Bangla-speaking Australians.
Ease into the English language and Australian culture. We make learning English convenient, fun and practical.
Get the latest with our exclusive in-language podcasts on your favourite podcast apps.

Watch on SBS
SBS Bangla News

SBS Bangla News

Watch it onDemand